ক্ষুধার জ্বালায় নিজ ঘর থেকে বাহির হয়ে ভিক্ষা করতে যাচ্ছিলেন প্রতিবন্ধী জমির আলী

0
551
ক্ষুধার জ্বালায় নিজ ঘর থেকে বাহির হয়ে ভিক্ষা করতে যাচ্ছিলেন প্রতিবন্ধী জমির আলী

হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ হবিগঞ্জ জেলা চুনারুঘাট উপজেলা গাজীপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ভিক্ষুক জমির আলী আমার এলাকায় যখন ভিক্ষা করতে দেখতে পাই। সরকার যখন করোনেশন করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় যুদ্ধ ঘোষণা ঠিক সেই মহুরতে একজন ভিক্ষুক তার ছেলের সন্তান ও পরিবারের খাবার জোগান দিতে মানুষের দুয়ারে দুয়ারে অবস্থান করছে। তখন তাকে জিজ্ঞেস করলাম তোমাকে দেওয়া হয়েছিল সেই প্রতিবন্ধী ভাতা। তুমি কি ভাতাগুলি টাকা পাওনি। তখন লোকটি কেঁদে কেঁদে বলল আমাকে আমার ছেলে মেয়েকে নিয়ে অনাহারে জীবন যাপন করছি। কিন্তু প্রতিবন্ধী ভাতার টাকা আমার একাউন্টে জমা হলেও সেটা টাকা উত্তলন করতে পারি নাই।

বিষয়টি জেনে আমি খুবই মর্মাহত। সঙ্গে সঙ্গে আমার পার্শ্ববর্তী ইউনিয়আহম্মদাবাদ কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলি। এবং সেই ভিক্ষুকের প্রতিবন্ধীর টাকাগুলি উত্তোলন করার জন্য অনুরোধ করলে। কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মহোদয় তার টাকা উত্তোলনের সুযোগ করে দেন। এবং তার পরিবার আমাকে মোবাইলফোনে জানিয়েছে সরকারের দেওয়া অনুদান প্রতিবন্ধীর ভাতাগুলি উত্তোলন করতে পেরেছে ।আমি তার পরিবারকে পরামর্শ দিলাম বর্তমান দেশের পরিস্থিতি খুবই খারাপ। তাই সেই টাকাগুলো দিয়ে চাল ডাল সহ জিনিসপত্রগুলি কিনে নিয়ে যাওয়ার জন্য। অত্যন্ত একটি মাস যেন সে নিরাপদে ঘরে বসে খাবারগুলো খেতে পারে ।

তাই ভিক্ষুকের পরিবার আমার নিকট থেকে পরামর্শ নিয়ে সে বাজার করে তার স্বামীকে অনুরোধ জানায় এবং সরকারের নির্দেশনা গুলো আমরা মেনে চলি। সে তার স্বামীকে পরামর্শ দেয় এবং আমাকে বলে আপনি আমাকে যে সুযোগ করে দিয়েছেন টাকা উত্তোলনের আমরা অত্যন্ত খুশি হয়েছি।আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুক। তাই সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী আমার স্বামীকে আর ঘর থেকে বাহির করবো না। ইতিমধ্যে যে টাকাগুলো পেয়েছি সেগুলোর মধ্যে কিছু টাকার বাজার হাট করে আমার ছেলে সন্তানের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছি। তাই আমি প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করবো সাধারণ মানুষ কিন্তু পরিবারের খাবার জোগান দিতে গিয়ে সে ঘরের বাহির হচ্ছে। ইতিমধ্যে তাদের খাবারের ব্যবস্থা করুন তাহলে লকডাউন সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here