খবর৭১ঃ করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। পরিস্থিতি বিবেচনা করে চলমান সাধারণ ছুটির পহেলা বৈশাখ পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে এক অনির্ধারিত বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নানসহ কয়েকজন মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। আজ মঙ্গলবার গণভবনে এ নিয়ে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল, খাদ্যমন্ত্রী, জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী, ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত থাকবেন।
জানা গেছে, চলতি সাধারণ ছুটির মেয়াদ ৪ এপ্রিল শেষ হওয়ার কথা থাকলেও করোনা ভাইরাসের ঝুঁকির কথা মাথায় রেখে তা ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে খুলবে সরকারি অফিস।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১১ এপ্রিল খোলা কথা থাকলেও তা খুলবে রমজানের ঈদের পরে। কারণ হিসাবে তারা বলছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার পাশাপাশি বন্ধ করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের আবাসিক হলগুলোও। এতে করে শিক্ষার্থীরা বাড়িতে ফিরে গিয়েছেন। এখন যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করা হয়, তাহলে সকল শিক্ষার্থীই সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে ফিরে আসবে, এতে করে ঝুঁকি আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঈদুল ফিতরের পরে খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানা গেছে।
সরকারি তহবিল থেকে দরিদ্রদের মাঝে অর্থ, খাদ্য বিতরণ যাতে যথাযথভাবে করা হয় সেই বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আজ সকাল ১০ টায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে দেশব্যাপী চলমান কার্যক্রম সমন্বয়ের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ৬৪ জেলার কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হন।