খবর৭১ঃ
শেরপুর থেকে আবু হানিফঃ পারিবারিক কলহের জের ধরে শেরপুরের শ্রীবরদীর কুড়িকাহনীয়া মিয়া পাড়ায় দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধুকে স্বামী শ্বাশুরী মিলে পালাক্রমে নির্মমভাবে পিটিয়ে খুন করার পর ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টার করার অভিযোগ উঠেছে।
হত্যাকান্ড ঘটার পর থেকেই একটি প্রভাবশালী মহল এ ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে নেয়ার জন্য নানা প্রচেষ্টা চালায়। যে কারণে পুলিশকে ঘটনার একদিন পর মামলা নিতে হয়েছে। এঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীরা বিচার দাবী করে আসছে। পারিবারিক ও পুলিশ সূত্রে জানাযায়, শ্রীবরদীর কুড়িকাহনীয়া মিয়া পাড়ার বাধন মিয়া ও তার মা বেলী বেগম বেশ কিছুদিন ধরে স্ত্রী দুই সন্তানের জননী আরজিনাকে নানাভাবে জ্বালা-যন্ত্রনা করে আসছিল। এর অংশ হিসেবে ২৮ মার্চ বিকেলে একদফায় মাইরপিট করে স্বামী বাধন মিয়া। সন্ধায় আরেক দফায় তার মা বেলী বেগম লাঠি দিয়ে পেটালে ঘটনাস্থলেই গৃহবধু আরজিনার মৃত্যু হয়। এ লোমহর্ষক ঘনার বিচার চায় তার বাবা ও মা। হত্যার পর আরজিনার মৃত্যু ফাঁসিতে ঝুলে হয়েছে বলে তারা প্রচার করতে থাকে। পুলিশকেও একথা বলে খবরও দেয়া হয়। পুলিশ এসে রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নূরে আলম।
তিনি জানান, ঘটনাটি হত্যাকান্ড হলেও এটাকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে এ খুনের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। পুলিশও প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে করলেও পরবর্তীতে তারা আরজিনার শরীরে নানা জায়গায় আঘাত দেখে এটাকে হত্যাকান্ড বলে সন্দেহ করে। তাই সেখান থেকেই আরজিনার শাশুরী বেলী বেগমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এর আগেই পালিয়ে যায় স্বামী বাধন ও অপর সহযোগীরা।
এর পর থেকেই পুলিশের ওপর নানা তদবির শুরু হয়। কিন্তু পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে নিশ্চিত হন ঘটনাটি আত্মহত্যা নয়, হত্যা। আর সবশেষে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে আজ ২৯মার্চ বিকেলে আটক শ্বাশুরী বেলী বেগম গৃহবধু আরজিনাকে নির্যাতন ও হত্যার কথা শিকার করে। পরে থানায় শ্বাশুরী, স্বামীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করে পুলিশ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: বিল্লাল হোসেন জানান, পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত স্বামী বাধনসহ বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে আসছে।