খবর৭১ঃ বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। শেবাচিমে মারা যাওয়াদের মধ্যে একজন নারী ও একজন পুরুষ।
এদের মধ্যে শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৩নং ওয়ার্ডের পুরানপাড়া এলাকার নিরু বেগমকে (৪৫) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তির কিছুক্ষণ পর মারা যান। নিরু বেগম পুরানপাড়া এলাকার মো. দুলালের স্ত্রী। তিনি ২ সন্তানের জননী ছিলেন। হাসপাতালে মারা যাওয়ার পরপরই স্বজনরা তার মৃত দেহ বাসায় নিয়ে যান।
রবিবার সকাল ৭টা ২০ মিনিটে করোনা ইউনিটে মারা যাওয়া অপর রোগী জাকির হোসেন (৪০) পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার পাতাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা। হাসপাতাল সূত্র জানায়, শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় পটুয়াখালী হাসপাতাল থেকে তাকে শেবাচিমে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে রবিবার সকাল ৭টা ২০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন জানান, হাসপাতালে করোনা ভাইরাস শনাক্তকরণ কোনো কিট নেই। তবুও রোগীর লক্ষণ দেখে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করা দু’জন রোগীরই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রোগীর মৃত্যুর পর বিষয়টি রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) জানানো হয়েছে। তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
অপরদিকে পটুয়াখালী জেলার কালিকাপুর এলাকার বাদরবাড়ি সংলগ্ন নিজ বাসায় আব্দুর রশিদ (৬৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। পটুয়াখালী সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবদুল মোনায়েম জানান, শনিবার বিকেলে ঐ ব্যক্তির মৃত্যু হলে তার করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আব্দুর রশিদ ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের মৃত কেরামত আলীর ছেলে। সে পেশায় ভ্যান চালন ছিলেন এবং পটুয়াখালী কালিকাপুর এলাকায় মেয়ের কাছে বেড়াতে এসেছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।