খবর৭১ঃ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে জরুরি পরিস্তিতিতে বাংলাদেশকে হাসপাতাল নির্মাণসহ সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দিতে তার দেশ প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন চীনা দূত লি জিমিং।
একইসঙ্গে বাংলাদেশের চিকিৎসক-নার্সরা চাইলে চীনা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে পরামর্শও নিতে পারেন। এই জন্য তার দেশের বিশেষজ্ঞরা প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন লি জিমিং।
চীনের সহায়তা হিসেবে করোনাভাইরাস শনাক্তে টেস্ট কিট ও ব্যক্তিগত সুরক্ষা উপকরণসহ (পিপিই) বিভিন্ন চিকিৎসা সরঞ্জাম বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকায় এসে পৌঁছার পর চীনা রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদের হাতে সরঞ্জামগুলো তুলে দেন রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার মধ্যে ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহে বাংলাদেশকে ৫০০ টেস্ট কিট পাঠিয়েছিল চীন।
দ্বিতীয় দফায় বৃহস্পতিবার আসা মেডিকেল সরঞ্জামের মধ্যে ১০ হাজার টেস্ট কিট, ১০ হাজার পিপিই, ১৫ হাজার এন৯৫ মাস্ক এবং এক হাজার ইনফ্রারেড থার্মোমিটার রয়েছে।
করোনাভাইরাস গোত্রের কোভিড-১৯ চীন থেকে ছড়িয়ে পড়লেও এখন দেশটিতে প্রাণ সংহারক ভাইরাসটির সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। বিশ্বের অন্যতম অর্থনৈতিক পরাশক্তির দেশটি বিভিন্ন দেশকে করোনা ঠেকাতে এখন সহায়তা করছে।
লি জিমিং বলেন, ‘চীন থেকে আপাতত বাংলাদেশে কোনো বিশেষজ্ঞ অথবা চিকিৎসক ও নার্সিং দল আসবেন না। তবে জরুরি পরিস্থিতিতে যে কোনো সহায়তা দিতে চীন প্রস্তুত।’
এসময় করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে বাংলাদেশ সরকারের সবধরনের প্রস্তুতি সন্তোষজনক বলেও চীনা দূত জানান।