মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুরঃ
সৈয়দপুরে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে পাঁচটি পরিবারের নগদ টাকাসহ সর্বস্ব পুঁড়ে ছাঁই হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে শহরের কয়া গোলাহাট এলাকার জেলে পাড়ায় (সাল্টিয়াপাড়া) ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর সদস্যরা পরণের কাপড় ছাড়া কোন কিছুই রক্ষা করতে পারেননি। অগ্নিকান্ডে পরিবারগুলোর নগদ অর্থসহ প্রায় ১০ লাখ টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে কথা বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, ওই পাড়ার মানুষজন যখন দুপুরের খাবারের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন ঠিক তখনি মাছ ব্যবসায়ী দীনেশ চন্দ্র দাসের (৪০) বাড়ি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুর্হুতেই আগুনের লেলিহান শিখা আশপাশের বাড়িঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে দীনেশ চন্দ্র দাসের নগদ ৮০ হাজার টাকাসহ চারটি ঘর ছাড়াও প্রতিবশী ছালেয়া খাতুনের (৪০) দুইটি, ও তাঁর ছেলে আব্দুল সালামের (২৫) একটি, বাবুলের (৫০) দুইটি ও পরিমল কুমার দাসের (২২) দুইটিসহ ১১টি টিনের বসত ঘর,রান্নাঘর ও গোয়ালঘর, আসবাবপত্র, নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার কাপড়চোপড়, চাল, ধানসহ সংসারের বিভিন্ন মালামাল আগুনে পুড়ে যায়। অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। কিন্তু তার আগেই পাঁচটি পরিবারের সর্বস্ব পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোর সদস্যরা শুধুমাত্র নিজেদের পরণের কাপড় ছাড়া কোন কিছুই আগুনের কবল থেকে রক্ষা করতে পারেননি। বর্তমানে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন।
সৈয়দপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. মাহামুুদুল হাসান জানান, রান্নার ঘরে চুলার আগুন থেকে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। এতে পাঁচটি পরিবারের ১১টি টিনের বসত, রান্না ও গোয়ালঘরসহ তিন লক্ষাধিক টাকার মালামাল পুঁড়ে গেছে।
এদিকে অগ্নিকান্ডের খবরে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান সংরক্ষিত আসনের পৌর কাউন্সিলর সাবিয়া বেগম। এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারদের সাথে কথা বলেন এবং পৌর পরিষদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।