সৈয়দপুরে একই এলাকা ১১টি পরিবারসহ দোকানপাট হোম কোয়ারেন্টাইনে

0
558
সৈয়দপুরে একই এলাকা ১১টি পরিবারসহ দোকানপাট হোম কোয়ারেন্টাইনে

মিজানুর রহমান মিলন সৈয়দপুরঃ
নীলফামারীর সৈয়দপুরে ঢাকা ফেরত এক যুবকের মাঝে করোনাভাইরাসের লক্ষন দেখা দেয়ায় তার বাড়িসহ ১০টি পরিবারের বাড়ি ও ওই এলাকার একটি হোটেলসহ সাতটি দোকান হোম কোয়ারেন্টাইন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে সার্বিক অবস্থা পর্যবেক্ষন করে এ নির্দেশনা জারি করেন। শহরের বাঁশবাড়ি মহল্লার মসজিদ বায়তুস সালাম (টালি মসজিদ) সংলগ্ন এলাকার একটি অংশে ওইসব বাড়ি ও দোকানপাট হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়। এতে ওইসব পরিবার ও দোকান পাটের মালিকরা হোম কোয়ারন্টাইনের নির্দেশনা মানছে কি তা দেখে প্রশাসনকে জানানোর আহবান জানানো হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। এ ঘটনায় গোটা এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। জানা যায়, ওই এলাকার বাসিন্দা ইমরান হোসেন (৩৫) দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে আসছে। গত এক সপ্তাহ আগে সে সৈয়দপুরে আসে। সৈয়দপুরে এসেই সে জ্বর ও স্বর্দি কাশিতে আক্রান্ত হয়।

পরে স্থানীয় হাসপাতালে গেলে তা্কে কিছু পরামর্শ দিয়ে বাসায় চিকিৎসা ও বিশ্রাম নিতে বলা হয়। সে অনুযায়ী চিকিৎসা চলা অবস্থায় গতকাল সোমবার থেকে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায়। আজ মঙ্গলবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিকেলে তার পরিবারের সদস্যরা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। মূহুর্তেই ইমরান শ্বাসকষ্টে আক্রান্তের খবরটি গোটা এলাকায় চাউর হয়ে পড়ে। বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকার থানা পুলিশকে সাথে নিয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন এবং ঘটনা বিষয়ে বিস্তারিত জেনে বাঁশবাড়ি টালি মসজিদ এলাকার একটি অংশের ইমরানের পরিবার ছাড়াও তার প্রতিবেশী এমন ১০টি পরিবার ও পাশ্ববর্তি একটি হোটেল,মুদি দোকানসহ ৭টি দোকান হোম কোয়ারেন্টাইনে নেন। এসময় সৈয়দপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. আতাউর রহমান,পৌরসভার প্যানেল মেয়র জিয়াউল হক জিয়া, ওই এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবিদ হোসেন লাড্ডান, মহিলা কাউন্সিলর জোসনা বেগম, সাংবাদিক,ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকার বলেন হেম কোয়ারেন্টাইনে থাকা ১১টি পরিবারের সদস্যরা বাইরে যেতে পারবেনা এবং বাইরেরও কেউ প্রবেশ করতে পারবেনা। কোয়ারেন্টাইনে থাকা পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী আত্মীয়-স্বজনদের মাধ্যমে সংগ্রহ করতে হবে। খাবার সামগ্রী ও অন্যান্য পণ্য তাদের আত্মীয়রা মসজিদের সামনে নিয়ে এলে সেখান থেকে তারা ওইসব পন্য নিয়ে যাবেন। এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা লোকজন যদি নিয়ম ভঙ্গ করেন, তাহলে উপজেলা প্রশাসন বা থানা পুলিশকে জানাতে হবে। এজন্য এলাকাবাসির সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here