খবর৭১ঃ হলিউড ও বলিউডের মতো দেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে। এ অবস্থায় যখন ঢালিউডে সিনেমা মুক্তির তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তখন হিরো আলম নিলেন সাহসী পদক্ষেপ। তার প্রযোজিত প্রথম সিনেমার মুক্তি ২৭ মার্চ থেকে এক সপ্তাহ এগিয়ে ২০ মার্চ ঘোষণা দিলেন।
জানা গেছে, আগামী ২০ মার্চ অপু বিশ্বাস ও বাপ্পী চৌধুরী অভিনীত ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ-২’ সিনেমাটি মুক্তির ঘোষণা দেওয়া হলেও তা স্থগিত করা হয়েছে।
সিনেমাটির প্রযোজক সৈয়দ আশিক রহমান সামাজিক দায়বদ্ধতার কারণ দেখিয়ে করোনাভাইরাস থেকে মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে সিনেমাটি মুক্তির তারিখ পিছিয়ে দিয়েছেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে হিরো আলম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, এভাবে সবাই সিনেমার মুক্তি পিছিয়ে দিলে দেশের সিনেমা হলগুলোকে বাঁচাবে কে। এমনিতেই একের পর এক প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
তাই সিনেমা হল টিকিয়ে রাখতে হলে কাউকে না কাউকে এগিয়ে আসতে হবে। আমার প্রথম প্রযোজিত ছবির নাম যেহেতু ‘সাহসী হিরো আলম’, তাই একজন প্রযোজক হিসেবেও করোনা আতঙ্কের মধ্যে সিনেমা মুক্তির সাহস করলাম। তিনি আরও বলেন, ‘আমি হিরো আলম রাস্তায় বের হলেই মানুষ ঘিরে ধরে। আমার সিনেমা মুক্তি পেলে মানুষ সিনেমা হলে যাবেই। আশা করছি অর্ধশতাধিক সিনেমা হলে দর্শক আমার এই ছবিটি দেখতে পাবে।
’ মুকুল নেত্রবাদি পরিচালিত এই সিনেমার নামকরণ নিয়ে হিরো আলম জানান, ‘আমি সাহসী, কোনো কিছুতেই ভয় পাই না। তাই সিনেমার নামও রেখেছি সাহসী হিরো আলম। ’
এই সিনেমায় হিরো আলমের বিপরীতে তিনজন নায়িকা অভিনয় করেছেন। তারা হলেন সাকিরা মৌ, রাবিনা বৃষ্টি ও নুসরাত জাহান। ছবির গল্প লিখেছেন পিজি মোস্তফা। চিত্রনাট্য করেছেন দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। হিরো আলম ও তিন নায়িকা ছাড়াও এই ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন আমির সিরাজী, তনু পাণ্ডে, রেহেনা জলি, নিরাঞ্জন গুলজার ও কালা আজিজ প্রমুখ।
অন্যদিকে, দীর্ঘ ১৭ বছর পর নির্মাতা দেবাশীষ বিশ্বাস ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’ সিনেমার সিক্যুয়েল নির্মাণ করেছেন। মুক্তি স্থগিত করা এই ছবিতে অপু-বাপ্পী ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন সাদেক বাচ্চু, রেবেকা, আফজাল শরীফ, চিকন আলী, কাবিলা, শাহীন খান, হারুন কিসিঞ্জার, বরদা মিঠু প্রমুখ।
উল্লেখ্য, সারা বিশ্ব কাঁপছে করোনাভাইরাস আতঙ্কে। প্রতি মুহূর্তে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মারণ এই ভাইরাসের শিকার হচ্ছেন কোনো না কোনো ব্যক্তি। বিশ্বজুড়ে ১,৩৪,০০০-এরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়েছে। গত ডিসেম্বরে চীনেই এই ভাইরাসের উপস্থিতি প্রথম ধরা পড়ে।