খবর৭১ঃ সরকারপ্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্কুল-কলেজ বন্ধ করার মত পরিবেশ সৃষ্টি হলে, অবশ্যই সেটা করা হবে।
শনিবার আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে করোনাভাইরাস নিয়ে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণের কার্যক্রম শুরু করার আগে সাংবাদিকদের সামনে এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপ এখন কোনো দেশের বিষয় নয়, সারা বিশ্বের প্রায় ১২৮টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই রোগ। আমরা একদিকে মুজিববর্ষের কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং এরই মধ্য দিয়ে করোনাভাইরাসের দেশবাসীর করণীয় সম্পর্কে সতর্ক করার বিষয়টি দেখছি। আমাদের এখানে করোনার বিষয়টি সংক্রমিত আকারে হয়নি। এটা ইতালি থেকে দুজনের আগমনে তাদের ভেতরে খুঁজে পাওয়া যায়, তাদের মধ্য থেকে ইতোমধ্যে দুজন ভালো হয়ে গেছে। সরকারি-বেসরকারিভাবে সারাদেশে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে নজরদারি চলছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রাখার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্কুল-কলেজ বন্ধের একটা দাবি এসেছে, পৃথিবীর অনান্য দেশের মত হচ্ছে না বলে অনেকে বলছে। এখানে সরকার কিন্তু গভীরভাবে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে। এটা নিয়ে আমাদের মধ্যে চিন্তাভাবনা নেই এমন কিছু নয়। কারণ এখনে প্যানিক করে কোনো লাভ নেই।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের এখানে বিষয়টা সেই পর্যায়ে আসেনি, নতুন করে সংক্রমিত হওয়ার খবর পাইনি। আমাদের এখানে বিষয়টি যদি খারাপভাবে মোড় নেয় বা স্কুল কলেজ বন্ধ করার মত পরিবেশ সৃষ্টি হয়, তাহলে অবশ্যই সেটা করা হবে। আস্থা রাখুন সরকারে ওপর, আস্থা রাখুন প্রধানমন্ত্রীর ওপর। তিনি যথাসময়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্যোগে বাংলাদেশ সরকার সাড়া দিয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রস্তাব এসেছে নরেন্দ মোদির পক্ষ থেকে। আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে সাড়া দিয়েছে এ ব্যাপারে। এই ব্যাপারে যৌথ উদ্দ্যোগ নিতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমরা যতটুকু জানি পাকিস্তান এই ব্যাপারে সাড়া দেয়নি, সে কারণে এখনও বিষয়টি আলোচনার পর্যায়ে, বাস্তবায়ন পর্যায়ে যায়নি। যখনই যাবে তখনই সার্ক দেশগুলো এ ধরনের উদ্যোগে আমরা থাকব, এ ধরণের উদ্দ্যোগে আমরা বিশ্বাস করি। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা ইতোমধ্যে সায় দিয়েছি, সম্মত হয়েছি।”
করোনাভাইরাসের প্রস্তুতি নিয়ে বিএনপির অভিযোগের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনার বিষয়টি নিয়ে সতর্কতা এবং প্রস্তুতিতে সামান্যতম ঘাটতি নেই। এখন বিএনপি অভিযোগ করছে, সব কিছুতেই বিএনপি নন্দঘোষ সরকারকে দেখছে। সবকিছুতেই তারা রাজনৈতিক ইস্যু খোঁজার পায়তারা করছে। এটাই এখন তাদের রাজনীতি। সব দোষ নন্দঘোষ, সরকারে উপর চাপানো। সরকার সরকারের দায়িত্ব যথাযথ পালন করে যাচ্ছে। আমরা বিএনপিকে অনুরোধ করব, সরকারের ঘাড়ে দোষ চাপানোর আগে নিজেরা নিজেদের ঘর সামলান। আপন ঘরেই আপনাদের অসুবিধা, সমস্যা। করোনার মত ভাইরাস আপনাদের ঘরে রাজনীতিতে ছড়িয়ে পড়েছে। নিজেদের ঘরের করোনা আগে প্রতিরোধ করুন এরপর সরকারের উপর দোষ চাপাতে পারবেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা মতিয়া চৌধুরী, দীপু মনি, আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, আবদুস সোবহান গোলাপ, বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ। পরে আওয়ামী লীগের নেতারা গুলিস্তান এলাকায় করোনাভাইরাস সচেতনতায় লিফলেট বিতরণ করেন