রাকিব হাসান, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার জরাজীর্ণ বসতঘরে মানবেতর জীবন-যাপন করছে দিনমজুরের পরিবার। জানা যায়, উপজেলার সদর ইউনিয়ানের উত্তর লক্সœীপুর গ্রামের মৃত্যু চাঁন মিয়া হাওলাদারের ছেলে মাফুজ হাওলাদারের পরিবার একটি মোটামুটি ভালো আশ্রয়স্থল ্এর অভাবে বহু বছর ধরে জরাজীর্ণ বসতঘরে মানবেতর জীবন-যাপন করে আসছেন।
এলাকাবাসী জানান, মাফুজ হাং একজন গরীব অসহায় লোক। দিনমজুরী কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। বসত ভিটা ছাড়া তার নিজের কোন ধানী জমি নেই। তার তিন মেয়ের মধ্যে দুই মেয়ে লেখাপড়া করে। বর্তমানে মাফুজ হাং বসত ঘরখানা খুবই জরাজীর্ন অবস্থায় আছে। বসত ঘরের আংশিক ভাংগা পুরাতন টিন ও পলিথিন দিয়ে ঢাকা। বর্ষার সময় ঘরের ছাউনী থেকে পানি পড়ে বাশঁ, খুটি, বিছানাসহ সব কিছু ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। একটু বন্যা হলেই ঘরটি পরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ঝড়বন্যা হলে অন্যের ঘরে আশ্রয় নিতে হয় মাফুজ হাওরাদারের পরিবারের। এঅবস্থায় মাফুজ হাং তার স্ত্রী ও মেয়ে নিয়ে খুবই মানবেতর ভাবে জরাজীর্ণ বসতঘরে জীবন-যাপন করছেন।
মাফুজ হাওলাদার জানান, বর্ষা কালে ঘরে পানি পড়ে বলে সারা রাত ঘরের এক কোনায় জেগে রাত কাটাতে হয় পরিবারের সবার। আর এই ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে বেশি করে অসুস্থ করে দিচ্ছে তাদের। অর্থিক অবস্থা ভাল না হওয়ায় ঠিক মত ঔষুধ কেনা হয় না তাদের। বর্তমানো তাদের ভাঙ্গা ঝুপড়ি নিয়ে বেশ চিন্তিত। কারন রোদ বৃষ্টি কোন মৌসুমেই ঠিক মত থাকতে পারেন না। খেয়ে না খেয়ে থাকা যায় কিন্তু আশ্রয়স্থল যদি ঠিক না থাকে তাহলে দিন রাত পার করা খুব মুসকিল । স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যানের কাছে বারবার একটি ঘরের জন্য বলা হলেও আজ পর্যন্ত ব্যবস্থা হয় নাই।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ”লীগের সাধারন সম্পাদক এ্যাড. ইকাবাল মাহামুদ লিটন জানান, খুব শিগ্রই সরকারী ভাবে বসবাসের উপযোগী বসতঘর দেয়ার জন্য উর্ধ্বতন মহলে আলোচনা করবো।এ ব্যাপারে দশমিনা উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোসা. তানিয়া ফেরদৌস বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ কোন লোকই গৃহহীন থাকবেনা আগামী বাজেট আসলে অবশ্যই মাফুজের পরিবারকে বসতঘর করে দেয়া হবে।