খবর৭১ঃ জামায়াতে ইসলামীর ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের দ্বারা দেশে জঙ্গিবাদের সূচনা হয়েছে বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। বলেছেন, ‘তারা বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে। পায়ের রগ কেটেছে।’
বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটে একটি অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ‘জঙ্গি মৌলবাদী সন্ত্রাস ও সংঘাত প্রতিরোধে সাংস্কৃতিক কর্মীদের ভূমিকা’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র হ্যাকেন’স জ্যার্নি টু পিস এর উদ্বোধনী প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির, লালন সঙ্গীতশিল্পী ফরিদা পারভীন ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক শিক্ষাবিদ জাফর ইকবাল প্রমুখ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বিদেশিকে হত্যা করার দৃশ্য দেখলাম, ইসকন মন্দিরের পুরোহিতকে হত্যার দৃশ্য দেখলাম, বান্দরবানের এক বৌদ্ধ ভিক্ষুকের হত্যার দৃশ্য দেখলাম, ধর্ম যাজককে হত্যা চেষ্টার দৃশ্য দেখলাম, শিয়া মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিনকে হত্যা করার দৃশ্য দেখলাম। এগুলো সবই সূত্র একই। শিবির এদেশে জঙ্গিদের উত্থান ঘটাতে চেয়েছিল। আন্তর্জাতিক মৌলবাদী সন্ত্রাসের সঙ্গে আমাদের দেশকে যুক্ত করার প্রচেষ্টাও আমরা দেখেছি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘সেদিন আমরা দেখেছিলাম মা তার জঙ্গি ছেলেটিকে আমাদের হাতে তুলে দেয়ার দৃশ্যটিও। আর জঙ্গিকাণ্ডে যারা নিহত হয়েছিলেন তাদের আত্মীয়-স্বজন তাদের স্বীকার করেনি। এমনকি নিহত জঙ্গিদের লাশও তার পরিবাদ গ্রহণ করেনি। বাংলাদেশের জনগণ কখনোই জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় না।’
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘আমাদের লালনকে সবার মাঝে তুলে ধরতে হবে। লালনের গান সবাই ভক্তি সহকারে শোনে৷ আমি লালন আখড়ায় মাঝে মাঝেই গিয়ে বসে থাকি। গান শোনার জন্য। লালন কী বলে গেছেন তা বোঝার চেষ্টা করি। আমি লালনভক্ত একজন মানুষ। দেশকে জঙ্গি-সন্ত্রাসমুক্ত করতে হলে সংস্কৃতি চর্চার বিকল্প নেই।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘জয় বাংলার স্লোগান দিয়েই আমরা মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছিলাম। একসময় এই স্লোগান নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার চেষ্টা করা হলেও সেই জয় বাংলা স্লোগান আবারও সামনে এসেছে। ইতিহাস বিশাস ঘাতকদের সঠিক জায়গায় নিয়ে গেছে।’