খবর৭১ঃ
কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে অজিউল্লাহ (৩০) নামে একজন রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত হয়েছেন। নিহত ডাকাত টেকনাফের নিবন্ধিত নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
অজিউল্লাহ ক্যাম্পের ত্রাস কুখ্যাত ডাকাত জকির আহমদের সহযোগী বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ সময় সেনাবাহিনী, র্যাব ও মিয়ানমারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পোশাকসহ তিন ডাকাতকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় ওসি তদন্তসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাবিরছড়া মাটি ছিড়া পাহাড়ে এই ঘটনা ঘটে।
আটক ডাকাতরা হলেন- টেকনাফের হ্নীলা নয়াপাড়া ক্যাম্পের মৃত আবু তাহেরের ছেলে খুরশেদ আলম (৩৯), জাদিমুরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আবদুর রহিমের ছেলে মো. আমিন (২৫) ও টেকনাফ সদরের রাজারছড়া এলাকার নজির আহমদের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২০)।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, শুক্রবার বিকালে একদল পুলিশ টেকনাফের হাবিরছড়া মাটিছিড়া পাহাড়ে রোহিঙ্গা শীর্ষ ডাকাত জকিরের অবস্থানের গোপন খবরে সেখানে অভিযানে যায়।
এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করতে থাকে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। এই গোলাগুলিতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১টি বিদেশী পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি, ৩ টি দেশীয় তৈরি এলজি, ১০ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ২৩ রাউন্ড খালি খোসা ও ২ হাজার ২০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন বাহিনীর পোশাকসহ গুলিবিদ্ধ আহতসহ ৪ ডাকাতকে আটক করা হয়।
তিনি বলেন, পরে গুলিবিদ্ধ ডাকাতকে টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। সেখানে পৌঁছলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, নিহত অজিউল্লাহ ডাকাত জকির গ্রুপের সক্রিয় সদস্য এবং মাদক কারবারে জড়িত ছিল। সরকারি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে তারা বিভিন্ন বাহিনীর পোশাক ব্যবহার করে অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছিল।
অপরাধ নির্মূলে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ক্যাম্পে ডাকাতি, সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারে যারা জড়িত থাকবে তারা রেহায় পাবে না। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।