খবর ৭১ঃ বিসিবি কর্তারা আশায় বুক বেঁধেছিলেন, এবার অন্তত মুশফিকুর রহিমকে পাকিস্তানে যেতে রাজি করানো যাবে। এ জন্য জরুরি বৈঠক ডাকেন তারা। কিন্তু তাদের আশায় গুড়েবালি। নিজের সিদ্ধান্তে অটল টাইগার উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন– তৃতীয় দফায়ও দেশটি সফরে যাবেন না।
সিলেটে চলছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজ। এর ফাঁকে টিম হোটেলে মুশফিককে নিয়ে মিটিংয়ে বসেন প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো এবং দুই নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ও হাবিবুল বাশার সুমন। পাকিস্তানে যাওয়ার ব্যাপারে তাকে বোঝানোই উদ্দেশ্য ছিল তাদের। কিন্তু ঘটে হিতে বিপরীত। অবতারণা হয় অপ্রীতিকর ঘটনার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবির এক পরিচালক জানান, পাকিস্তানে যেতে না চাওয়ায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচে মুশফিককে বাদ দেয়ার কথা বলেন ডমিঙ্গো-নান্নুরা। এতে রেগে গিয়ে বৈঠক থেকেই বেরিয়েই যান মুশি। যেটা অনেকের কাছে নেতিবাচক ঠেকেছে।
এর আগেই অবশ্য এমন কিছুর ইঙ্গিত দেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন। তিনি বলেন, আমরা মুশফিককে ডেকেছিলাম। তার সঙ্গে বসেছিলাম। পাকিস্তানে যাবে কিনা, জানতে চেয়েছিলাম। সে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে– যাবে না।
বিসিবির প্রধান নির্বাচক নিশ্চিত করেন, জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে মুশফিক থাকবে না। ওই ম্যাচে খেলানো হবে পাকিস্তান সফরের সম্ভাব্য দলকে। সে ক্ষেত্রে তাকে বাদ দেয়া হবে।
প্রসঙ্গত, নিরাপত্তা শঙ্কায় গড়িমসি করে শেষমেশ তিন পর্বে পাকিস্তান সফরে যেতে রাজি হয় বাংলাদেশ। ইতিমধ্যে দুবার সফরও করে ফেলেছেন তারা।
গেল জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারিতে দুই ধাপে দেশটি সফর করে এসেছেন টাইগাররা। সেখানে তিনটি টি-টোয়েন্টি ও একটি টেস্ট ম্যাচ খেলেন তারা। বৃষ্টির কারণে একটি টি টোয়েন্টি হয়নি। এ ছাড়া সব ম্যাচেই হারেন লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।
ওই দুবারের কোনো বারই দলের সঙ্গে যাননি মুশফিক। নিরাপত্তা অজুহাতে পারিবারিক আপত্তির কারণে সফর থেকে বিরত থাকেন তিনি। আগামী এপ্রিলে তৃতীয়বার পাকিস্তানের করাচিতে একমাত্র ওয়ানডে ও টেস্ট খেলতে যাবে বাংলাদেশ। এবারও যাচ্ছেন না মিস্টার ডিপেন্ডেবল।