খবর ৭১ঃ বাদ পড়ার খবর পেয়েই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে দেখালেন সাউথ আফ্রিকান ব্যাটসম্যান মালান। অপেক্ষাটা কম সময়ের নয়— ১২ মাস। হ্যাঁ, একটি সিরিজ জয়ের জন্য ১২ মাস অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। এর মাঝে অনেক দলই দেশটিতে সফর করেছে।
এর আগে অস্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি সিরিজের রীতিমতো দাপট দেখিয়ে হারিয়েছে প্রোটিয়াদের। গতকাল সেই অস্ট্রেলিয়াকেই এক ম্যাচ হাতে রেখেই ওয়ানডে সিরিজে হারিয়ে দিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্লুমফন্টেইনে অস্ট্রেলিয়ার ২৭১ রান তাড়া করে ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে ম্যাচের ৯ বল হাতে রেখেই।
এ জয় যে সহজে আসেনি সেটা বোঝা যায় ম্যাচ সেরাদের দিকে তাকালেই। হ্যাঁ, ম্যাচ সেরাদের। কাল অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে দুই প্রান্ত থেকেই ম্যাচ সেরা খুঁজে নিতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। প্রথমে ৫৮ রানে ৬ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ২৭১ রানেই আটকাতে পেরেছেন লুঙ্গি এনগিডি। পরে জয়ের লক্ষ্যে নামা স্বাগতিকদের কাজটা সহজ করে দিয়েছেন ইয়েনেম্যান মালান। এই ওপেনারের ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিই ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন উইকেটে ২৭২ রানকে কঠিন বানিয়ে দেয়নি। ফলে দুজনকেই এক সঙ্গে ম্যাচ সেরা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে কাল।
বাদ পড়েই হুঁশ ফিরেছে তাঁর। গতকাল নিজের দ্বিতীয় ইনিংসেই খেলেছেন ১৩৯ বলে অপরাজিত ১২৯ রানের দারুণ এক ইনিংস।মালান অবশ্য একা লড়েননি। অধিনায়ক কুইন্টন ডি কক কালও মিচেল স্টার্কের বলে বোল্ড হয়েছেন, সেটাও শূন্য রানে। দলকে সেটা টেরই পেতে দেননি মালান। জন জন স্মুটের (৪১) সঙ্গে ৯১ রানের জুটির পর হেনরিখ ক্লাসেনের (৫১) সঙ্গে ৮১ রানের এক জুটি গড়েছেন। ১৮৪ রানে চতুর্থ উইকেট পড়ার পর ওভারে সারে সাতের বেশি করে দরকার ছিল প্রোটিয়াদের। ডেভিড মিলারের সঙ্গে মাত্র ১০ ওভারেই ৯০ রানের জুটি গড়েছেন মালান। এতে মিলারের অবদান ২৯ বলে ৩৭ রান।
এর আগে অস্ট্রেলিয়া কাল রান পাহাড় গড়বে বলেই মনে হয়েছিল। অ্যারন ফিঞ্চ ও ডার্চি শর্ট দুজনই খেলেছেন ৬৯ রানের ইনিংস। কিন্তু শেষ ১০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৪৯ রান তোলা অস্ট্রেলিয়া শেষ বলে অলআউট হয়েছে ২৭১ রানে।