খবর ৭১ঃ দ্বিতীয় ওয়ানডেতে বিশ্রাম দেয়া হয় পেস অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে। রেস্ট পান কাটার মাস্টার মোস্তাফিজুর রহমানও। দুজনের স্থলাভিষিক্ত হন ডানহাতি পেসার আল-আমিন হোসেন ও শফিউল ইসলাম।
তবে ভালো করতে পারেননি তারা। তাদের বোলিং গুঁড়িয়ে শেষ ৫ ওভারে ৭৭ রানের সমীকরণ প্রায় মিলিয়ে ফেলেছিল জিম্বাবুয়ে। ১০ ওভারে ৮৫ রান গুনেছেন আল-আমিন। আর ৯ ওভারে ৭৬ রান খরচ করেন শফিউল।
স্পষ্টত ম্যাচে মোস্তাফিজ-সাইফউদ্দিনের অভাব অনুভূত হয়েছে। ম্যাচ শেষে ফিজকে নিয়ে ম্যানেজমেন্টের ভাবনার কথাও জানান অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। তিনি বলেন, মোস্তাফিজকে নিয়ে ম্যানেজমেন্ট ভাবছে। তার ওয়ার্কলোড কমাতে চাচ্ছে তারা। সামনে বিশ্বকাপ এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ আছে।
তবে সাইফের প্রশংসা বেশি ঝরেছে অধিনায়কের কণ্ঠে। তাকে বাংলাদেশের স্পেশাল বোলার বলে উল্লেখ করেন তিনি।
টাইগার দলনেতা বলেন, সাইফ আমাদের স্পেশাল বোলার। বিশেষ করে ডেথ বোলিংয়ে সে খুবই কার্যকরী। যে দুজন খেলেছে, তাদের রেকর্ড ভালো। সম্প্রতি টি-টোয়েন্টিতে ভালো করেছে তারা। কিন্তু শিশিরের কারণে এদিন ওদের কাজ কঠিন ছিল। আল-আমিনের বলে শুরুতে ক্যাচ পড়েছে। সেটি ক্যাচ হলে অন্যরকম কিছু হতে পারত। তবে অবশ্যই স্লগ ওভারে দারুণ সাইফ।
দল বিপাকে পড়লেও ক্যারিয়ার ও ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে সাইফকে বিশ্রাম দেয়ার সিদ্ধান্ত যৌক্তিক বলে মনে করেন মাশরাফি। তিনি বলেন, সাইফ এই দলের সম্পদ ও সম্ভাবনাময় একজন। আমি মনে করি, ১০-১১-১২ বছর বাংলাদেশ ক্রিকেটকে সার্ভিস দেবে সে। এ ম্যাচে খেলেনি ও। কারণ মাত্রই স্ট্রেস ফ্র্যাকচারের মতো ইনজুরি থেকে ফিরেছে এ তরুণ। তাকে চাপ দেয়া খুব ঝুঁকিপূর্ণ।
ম্যাশ বলেন, স্ট্রেস ফ্র্যাকচার ভয়াবহ ইনজুরি। আবার এতে পড়লে ফের দেড়-দুই বছর বাইরে চলে যেতে হতে পারে সাইফকে। তাকে খুব সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করতে এবং সামলাতে হবে। ম্যাচ হারলেও আমি বলতাম– ওকে বিশ্রাম দেয়া খুব ভালো সিদ্ধান্ত।