খবর৭১ঃ ক্রেডিট কার্ড ছাড়া অন্য সব খাতে ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি আবু তাহের মোহাম্মদ সাইফুর রহমান ও বিচারপতি জাকির হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে সোমবার এ সংক্রান্ত রিট আবেদন শুনানির এখতিয়ার নেই উল্লেখ করে বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন।
তবে আবেদনকারীর আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এ আবেদন শুনানির জন্য ২-১ দিনের মধ্যে এখতিয়ার সম্পন্ন (ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত) আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছিলেন।
গত রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মাহফুজুর রহমান নামে একজন আইনের ছাত্রের পক্ষে আইনজীবী সৈয়দ স্যায়েদুল হক সুমন এ রিটটি দায়ের করেন।
রিটে ক্রেডিট কার্ড ছাড়া সব ব্যাংক ঋণের সুদহার আগামী ১ এপ্রিল থেকে ৯ শতাংশ কার্যকরের বিষয়ে জারি করা বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার স্থগিত চাওয়া হয়। অর্থ সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ তিনজনকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ব্যারিস্টার স্যায়েদুল হক সুমন সাংবাদিকদের জানান, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক র্সাকুলার দিয়ে জানিয়েছে, ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণের ক্ষেত্রে ৯ শতাংশের বেশি সুদ নিতে পারবে না। তবে এর আগে মৌখিকভাবে বলা হয়েছিল, ব্যাংকগুলো ৯ শতাংশের বেশি সুদ নিতে পারবে না এবং আমানতকারীদের ৬ শতাংশের বেশি সুদ দেওয়া হবে না।
তিনি আরও জানান, ওই সার্কুলারে আমানতকারীদের বিষয়ে কিছুই বলা নাই। তার মতে, আমানতে সুদের হার ৬ শতাংশের কারণে ও কমানোর কারণে ২ কোটি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ব্যারিস্টার সুমন জানান, ওই সার্কুলারে শুধু ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানের কথা আছে। অন্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কথা বলা নাই। তাই আর্থিক প্রতিষ্ঠান চাইলে যা ইচ্ছা সুদ নিতে পারবে। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের জারি করা ৯ শতাংশ সুদের সার্কুলারের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়েছে।
গত ২৪শে ফেব্রুয়ারি ক্রেডিট কার্ড ছাড়া ব্যাংকের সব ঋণের সুদ হার ৯ শতাংশ আগামী ১লা এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে- এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বর্তমানে ব্যাংক ভেদে উৎপাদন খাতে সুদ হার ১১ থেকে ১৪ শতাংশ। ভোক্তা ও এসএমই ঋণের সুদহার আরও বেশি।