খবর৭১ঃ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) নতুন নির্বাচন দাবি করে তাবিথ আউয়ালের মামলা দায়েরের পর এবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনেও একই অভিযোগ তুলে তা বাতিল চেয়ে মামলা করেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন।
একইসঙ্গে তিনি গত ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচন বাতিল চেয়ে পুনরায় নির্বাচন আয়োজনেরও দাবি জানিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (৩ মার্চ) ঢাকার নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্যের আদালতে এ মামলা করেন ইশরাক।
এর আগে গতকাল সোমবার (২ মার্চ) ডিএনসিসি নির্বাচনে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তা বাতিল চেয়ে ও নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঢাকার নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন ওই নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল।
ইশরাকের মামলায় বিবাদী করা হয়েছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা, রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেম ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসসহ আট জনকে।
ইশরাকের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত নির্বাচনে মানুষ ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যায়নি। নির্বাচন সঠিকভাবে হয়নি। নির্বাচনে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে। আমরা এ নির্বাচন বাতিল চেয়ে নতুন নির্বাচনের জন্য মামলা করেছি।
ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালতের বিচারক উৎপল ভট্টাচার্য এ ট্রাইব্যুনালের বিচারকের দায়িত্ব পালন করছেন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি ডিএনসিসির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ছিলেন তাবিথ আউয়াল। মামলায় গত নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। অনিয়ম ও দুর্নীতির মধ্য দিয়ে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে তা বাতিলযোগ্য বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলায় উত্তর সিটি নির্বাচন বাতিল ও নতুন নির্বাচনের ঘোষণা চাওয়া হয়। এ মামলার সব খরচও বিবাদীদের দিতে হবে বলে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আইনগত যেসব প্রতিকার বাদী তাবিথ আউয়াল পেতে পারেন, সেই ঘোষণাও চাওয়া হয়।
মামলায় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি হিসেবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনের সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব ও রিটার্নিং অফিসার মো. আবুল কাশেম, গত নির্বাচনে কাস্তে মার্কা নিয়ে নির্বাচন করা বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী আহমদ সাজেদুল হক, আওয়ামী লীগ প্রার্থী (নির্বাচনে জয়ী) মো. আতিকুল ইসলাম, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির প্রার্থী মো. আনিসুর রহমান দেওয়ান, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক পার্টির প্রার্থী শাহীন খান ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী শেখ মোহাম্মদ ফজলে বারী মাসুদকে বিবাদী করা হয়েছে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল কোনো আদেশ দেননি।
মামলায় বিভিন্ন কেন্দ্রের নানা অনিয়ম তুলে ধরা হয়েছে। ভোটারদের উপস্থিতি কম, কেন্দ্রে কেন্দ্রে এজেন্টদের ঢুকতে না দেওয়া, কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়া, ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোসহ অসংখ্য অভিযোগ আনা হয়েছে। এমনকি নির্বাচনে দুর্নীতিরও আশ্রয় নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়।