খবর৭১ঃ দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য বিদ্যুতের দাম সাময়িকভাবে বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এজন্য এই মূল্যবৃদ্ধিকে মেনে নিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। মুজিব বর্ষে ঘরে ঘরে শতভাগ লোকের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছানো হবে বলে জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
শুক্রবার বিকালে রাজধানীর হাতিরপুলের সোনারগাঁ রোডে ফিকামলি সেন্টারে শহীদ সেলিম-দেলোয়ার দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
১৯৮৪ সালের এই দিনে ছাত্রমিছিলে তৎকালীন স্বৈরশাসকের লেলিয়ে দেয়া ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে রাজধানীর ফুলবাড়িয়ায় শহীদ হন ছাত্রনেতা সূর্যসেন হলের ইব্রাহিম সেলিম ও জহুরুল হক হলের কাজী দেলোয়ার হোসেন। দিনটিকে আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন ( বিইআরসি) সব পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। নতুন দামে সাধারণ গ্রাহক পর্যায়ে (খুচরা) প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম গড়ে ৩৬ পয়সা বা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। প্রতি ইউনিটের দাম ৬ টাকা ৭৭ পয়সা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৭ টাকা ১৩ পয়সা।
বিদ্যুতের দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আজকে বিদ্যুৎ আর পানির সেবা পেতে আপনাদের কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। শেখ হাসিনা সরকারের আমলে এই শহরে পানি আর বিদ্যুতের কোনো হাহাকার নেই। এই হাহাকার যেন আর কোনোদিনও না হয়।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘এই মুজিব বর্ষে এখন ৯৬ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে। শেখ হাসিনা অঙ্গীকার করেছেন, একশ ভাগ লোকের কাছে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ আমরা পৌঁছিয়ে দেবো।’
‘আজকে বিদ্যুতের ক্রাইসিস এডজাস্টমেন্ট করার জন্যই উৎপাদন খরচ মিটিয়ে বিদ্যুৎব্যবস্থাকে আরও আপনাদের কাছে সহজলভ্য করার জন্য বিদ্যুতের কিছু (৫ থেকে ৮ টাকা) মূল্য বাড়াতে হচ্ছে। এটা সাময়িক। এটা শতভাগের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছানোর জন্য সাময়িক একটু কষ্ট হবে।’
কিন্তু এরপরও সরকারকে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে বলে জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘ভর্তুকি কমানোর জন্য এবং বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ মেটানোর জন্য সাময়িকভাবে এই দুভোর্গটা আমি আশা করি আপনারা মেনে নেবেন, আপনাদের দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য সাময়িক এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’
বিএনপি-জামায়াত জোট শাসনামলে বিদ্যুৎ সরবরাহের ঘাটতিসহ বারবার দাম বাড়ানো হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন শহীদ ছাত্রনেতাদের সহকর্মী ডা. মোহাম্মদ ওয়াদুদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য মমতাজ উদ্দিন মেহেদী ও মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন মজুমদার।