খবর৭১ঃ
কলেজ ও মাদরাসায় একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে বড় ধরণের চারটি পরিবর্তন আনা হচ্ছে। তার মধ্যে কোটা বাতিল, রেজিস্ট্রেশন ফি বৃদ্ধি, এসএমএস আবেদন বাতিলসহ ভর্তি নীতিমালায় গুরুত্বপূর্ণ চারটি পরিবর্তন রয়েছে। ভর্তি আবেদন ১০ মে শুরু হয়ে ২৫ জুন শেষ করার প্রস্তাব করেছে আন্তঃজেলা সমন্বয় বোর্ড।
বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে এক সভায় একাদশ শ্রেণির খসড়া নীতিমালা-২০২০ তুলে ধরা হয়। সভায় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও এ বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
খসড়া নীতিমালায় অনুযায়ী, ভর্তি প্রক্রিয়ায় জটিলতা ও ব্যয় কমাতে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন প্রক্রিয়া বাতিল করে শুধুমাত্র অনলাইনে আবেদন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। ভর্তি নিশ্চয়নে ১৩০ টাকার বদলে ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করতে প্রস্তাব করা হয়েছে।
নীতিমালায় দেখা গেছে, এবারও অনলাইন ১০টি কলেজ বা মাদরাসায় আবেদন করার সুযোগ রাখা হয়েছে। এর জন্য নেয়া হবে ১৫০ টাকা। ফলে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আর এসএমএস করে ভর্তির জন্য আবেদন করা যাবে না। আগে মোবাইলে এসএমএসের মধ্যেমে প্রতিটি আবেদনে ১২০ টাকা ফি নেয়া হতো।
শতাভাগ মেধা কোটার ছাড়া সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিশেষ কোটা হিসেবে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা, বিকেএসপি-০.৫ এবং প্রবাসী ০.৫ শতাংশ কোটা বহাল রেখে বিভাগীয় ও জেলা সদর, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধঃস্তন দফতরসমূহ কোটা বাতিল করা হয়েছে।
এবার ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি ক্ষেত্রে ৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকার মধ্যে আংশিক এমপিওভুক্ত ও এমপিও বিহীন প্রতিষ্ঠানের জন্য ৯ হাজার টাকা (বাংলা মাধ্যম) ও ১০ হাজার টাকা (ইংরেজি মাধ্যম) ভর্তি ফি নিধারণ করা হবে। সকল প্রতিষ্ঠানের জন্য উন্নয়ন ফি ৩ হাজার টাকার বেশি আবেদন করা যাবে না। প্রতিটি খাতে অর্থ আদায়ের ক্ষেত্রে রশিদ প্রদান করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এছাড়া মফস্বল ও পৌর এলাকার জন্য ভর্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার টাকা, পৌর জেলা সদরে ২ হাজার টাকা, ঢাকা ব্যতিত অন্যান্য মেট্রোপলিটন এলাকায় ৩ হাজার টাকার বেশি নেয়া যাবে না।
নীতিমালা অনুযায়ী, একাদশ শ্রেণির অনলাইনে প্রথম ধাপের ভর্তি আবেদন আগামী ১০ থেকে ২০ মে পর্যন্ত আবেদন গ্রহণ করা হবে। যাচাই-বাছাই, ২৭ থেকে ৩১ জুন আপত্তি ও নিষ্পত্তি কার্যক্রম চলবে। ৮ জুন প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে। তবে পুনঃনিরীক্ষায় এসএসসি পরীক্ষা ফল পরিবর্তনকারীরা ১ জুন থেকে ৩ জুন পর্যন্ত আবেদন করার সুযোগ পাবেন।
দ্বিতীয় ধাপে আবেদন শুরু হবে ১৭ জুন, ২০ জুন শেষ হয়ে সেদিন রাত ৮টার পর এ ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে, এবং তৃতীয় ধাপে ২৩ জুন আবেদন শুরু হয়ে ২৫ জুন পর্যন্ত চলবে। ২৫ জুন রাত ৮টার পর এ ধাপের ফল প্রকাশ করা হবে।