খবর৭১ঃ দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজের প্রতিবাদে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আগামী শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে দলটি। একই দিন সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
রিজভী বলেন, ‘সরকারের ইচ্ছায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করা হয়েছে। বিনা চিকিৎসায় খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের শোচনীয় পর্যায়ে নেয়ার চক্রান্ত চলছে। এ জন্য আদালতকে ব্যবহার করা হচ্ছে।’
জামিন না দেয়ার প্রতিবাদে শনিবার ঢাকা মহানগরসহ সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা করে তিনি বলেন, ‘ঢাকায় নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দুপুর ২টায় হবে বিক্ষোভ সমাবেশ।’
রিজভী বলেন, জামিন খারিজ আদেশের মধ্য দিয়ে সরকারের হিংসাশ্রয়ী নীতিরই বহিঃপ্রকাশ ঘটলো। সরকার মুক্তিপণ আদায়ের মতোই তাকে অন্যায়-অন্যায্য ও সকল আইনী অধিকার লঙ্ঘন করে কারারুদ্ধ করে রেখেছে। আর এই কারারুদ্ধ করার মধ্য দিয়ে সরকার তাদের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখার মুক্তিপণ আদায়ের মতোই আচরণ করছে। এই সরকারের আমলে আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার পাওয়া সুদুর পরাহত। রাষ্ট্রের মালিকানা এখন আর জনগণের নেই। তা এখন অবৈধ শাসকগোষ্ঠীর অত্যাচারী যন্ত্রের হাতে। রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গ ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিপীড়ণ যন্ত্রে পরিণত করা হয়েছে। সুতরাং মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার আর কোন জায়গা নেই।
তিনি বলেন, গণতন্ত্র, মানবাধিকার, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার জন্য জীবনভর সংগ্রাম করেছেন যে নেত্রী, সেই নেত্রীকে নিপীড়ণ-নির্যাতনের জন্য কারারুদ্ধ করে শাসকের অহমিকা এখন অত্যুগ্র মাত্রায়। সরকার দম্ভের সাথে সকলের মুখ বন্ধ করে দেশনেত্রীকে কারাগারে আটকিয়ে রাখতে আদালতের শরনাপন্ন হয়েছে। জামিনে বাধা দিয়ে সরকার মনের সাধ মেটালেও জনগণ এর উপযুক্ত জবাব অতিশীঘ্রই দিতে প্রস্তুত হচ্ছে।
‘সরকারের নির্দেশে বেগম খালেদা জিয়ার জামিনের আবেদন খারিজের আদেশের আমি বিএনপির পক্ষ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই মূহুর্তে দেশনেত্রীর নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি করছি।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, খায়রুল কবির খোকন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মোরশেদ আলম, আক্তারুজ্জামান বাচ্চু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।