খবর৭১ঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় আগের মতোই পরীক্ষা নেবে। বাংলাদেশে দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষার সিদ্ধান্ত বাতিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। বুধবার বিকেলে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন।
তবে এখন এক ধরনের ‘গুচ্ছ’ পদ্ধতির পরীক্ষা কথা বলছে কমিশন।দেশের পাঁচটি বড় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এর আগে সাফ জানিয়ে দিয়েছিল যে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষায় তারা অংশ নেবে না। এমন প্রেক্ষাপটে অনেকটা বাধ্য হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা বাতিল করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে, চারটি গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষার্থীদের ছয়টি পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।
ভর্তি পরীক্ষার আবেদন করতে হবে অনলাইনে।
দেশের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় এর আগেই জানিয়ে দিয়েছে তারা এই পদ্ধতিতে পরীক্ষায় অংশ নেবে না। এর আগে দেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ভর্তির জন্য সবমিলিয়ে ৩৯টি পরীক্ষা হতো। কমিশন জানিয়েছে মার্চে এর পরিপূর্ণ চিত্র পাওয়া যাবে।
কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষায় থেকে সরে আসার সিদ্ধান্ত সবচেয়ে প্রথম জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েট।
গত মাসের শেষদিকে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন জানিয়েছিল যে, চলতি শিক্ষাবর্ষ থেকেই বাংলাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় ভাবে একসাথে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে।
সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ব্যাপারে কমিশনের যুক্তি ছিল দেশের গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিভিন্ন শহরে অবস্থিত। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত করতে একের অধিক বা সবগুলোতে পরীক্ষা দেয়ার চেষ্টা করেন এবং তা করতে চাইলে একজন শিক্ষার্থীকে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আলাদা পরীক্ষা দিতে হতো।
অর্থ খরচ করে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি ফরম কিনতে হতো এবং আলাদা শহরে যেতে হতো। অনেক সময় একই তারিখে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা পড়ে যায়। এসব বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের ঝামেলা কমিয়ে আনার জন্য সমন্বিত পরীক্ষার কথা বলা হয়েছিল।