খবর৭১ঃ
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার বৃত্তির ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে মোট ৮২ হাজার ৪ শ’ ২২ জন শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে। আজ মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এই বৃত্তির ফল প্রকাশ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৯ সালের পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনীর ফলের ভিত্তিতে এই বৃত্তির ফল দেওয়া হয়েছে। চলতি বছর পঞ্চম শ্রেণির প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে এই বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। এরমধ্যে মেধা তালিকায় (ট্যালেন্টপুলে) বৃত্তি পেয়েছে ৩৩ হাজার শিক্ষার্থী। সাধারণ কোটায় বৃত্তি পেয়েছে ৪৯ হাজার ৫ শ’ জন।
তিনি বলেন, আগের চেয়ে ছাত্র-ছাত্রীর বৃত্তি সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি বৃত্তির অর্থের পরিমানও বাড়ানো হয়েছে। ট্যালেন্টপুল বৃত্তি প্রাপ্তদের ২০১৫ থেকে ২ শ’ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ শ’ টাকা এবং সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে দেড় শ’ টাকার পরিবর্তে ২ শ’ ২৫ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, উপজেলা বা থানার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যার অনুপাতে উপজেলা বা থানা কোটা নির্ধারণ করে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি বন্টন করা হয়। সাধারণ বৃত্তি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ওয়ার্ড ভিত্তিক বিতরণ করা হয়।
এবার মোট ৮ হাজার ২৪ টি ইউনিয়ন বা পৌরসভার ওয়ার্ডের প্রতিটিতে ৬টি (৩ জন ছাত্র ও ৩ জন ছাত্রী) হিসাবে ৪৮ হাজার ১ শ’ টি এবং অবশিষ্ট ১ হাজার ৩ শ’ ৫৬ টি বৃত্তি হতে প্রতিটি উপজেলা বা থানা হতে আরও ২টি (১ জন ছাত্র ও ১ জন ছাত্রী) করে ৫ শ’ ১১টি উপজেলা বা থানায় ১ হাজার ২২ টি সাধারণ এবং আরও অবশিষ্ট ৩ শ’ ৩৪ টি বৃত্তি হতে প্রতিটি জেলা হতে আরও ৪টি (২ জন ছাত্র ও ২ জন ছাত্রী) করে ৬৪টি জেলায় ২ শ’ ৫৬ টি সাধারণ বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক বৃত্তির ফল অনলাইনে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd-এ এবং স্থানীয়ভাবে বিভাগীয় উপ-পরিচালকের কার্যালয়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় হতে পাওয়া যাবে।
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয় ২০১৯ সালের ১৭ নভেম্বর। এতে ২৯ লাখ ৩ হাজার ৬ শ’ ৩৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নেয়