খবর৭১ঃ নড়াইলের লোহাগড়ায় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বদর খন্দকারকে (৪৫) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় দুর্বৃত্তরা তার এক হাত ও দুই পা কেটে নিয়ে নিয়ে যায়। সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
বদর খন্দকার উপজেলার লোহাগড়ার কালনা গ্রামের মৃত ময়ের খন্দকারের ছেলে। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ছিলেন। মুমূর্ষু অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার কালনা ঘাট এলাকায় নিজের ইটভাটা থেকে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন বদর খন্দকার। পথে ৯৫নং টি চর কালনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা একদল দুর্বৃত্ত তার মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে রামদা, ছ্যান দাসহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে তার দুই পা ও একটি হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। গুরুতর অবস্থায় এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় দ্রুত খুলনায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। রাস্তায় তার মৃত্যু হয়।
পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একাধিক লোকের সঙ্গে বদর খন্দকারের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব-সংঘাত চলে আসছিল। এর জের ধরে তার ওপর এই হামলা হয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
লোহাগড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ঢাকা টাইমসকে বলেন, কালনা এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ধারালো দা, একটি মুঠোফোন, একটি খালি কালো ব্যাগ ও দুটি স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া নড়াইল জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) টহল জোরদার করেছে।