খবর৭১ঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে দেশে প্রথমবারের মতো আগামী মার্চ মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক বাজারে ২০০ টাকা মূল্যমানের নতুন নোট ছাড়তে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে শনিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, বাজারে প্রচলিত ১০, ২০, ৫০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকার মতোই ২০০ টাকার নোট ছাড়া হবে। আগামী মাসে স্মারক ও প্রচলিত-দুই ধরনের ২০০ টাকার নোট ছাড়া হবে, তবে ২০২১ সাল থেকে কেবল নিয়মিত নোট থাকবে।
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী বা মুজিববর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
এছাড়া বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের অংশ হিসেবে ১০০ টাকা মূল্যমানের সোনা ও রূপার স্মারক মুদ্রা ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সিরাজুল ইসলাম জানান, ২০০ টাকার নোটের উপর ‘মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিশেষ নোট’ কথাটি লেখা থাকবে। তবে ২০২১ সাল থেকে যে নোটগুলো ছাড়া হবে তাতে আর তা লেখা থাকবে না।
১০০ টাকা মূল্যমানের এক হাজার ৫০টি স্বর্ণ মুদ্রা এবং একই মূল্যমানের পাঁচ হাজার রৌপ্য মুদ্রা ছাড়া হবে। বর্তমানে দেশে ১, ২, ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০, ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের নিয়মিত নোট চালু রয়েছে। প্রথমবারের মতো ২০০ টাকার নোট চালু হতে যাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপনে ২০২০-২০২১ সালকে ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করেছে সরকার।
প্রসঙ্গত, বিশেষ বিশেষ ঘটনাকে স্মরণীয় রাখতে এর আগে ছয় ধরনের স্মারক নোট তৈরি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই বহরে যুক্ত হচ্ছে ২০০ টাকার নোট। এছাড়া এই পর্যন্ত ১২ ধরনের স্মারক মুদ্রা ছাড়া হয়েছে। অন্যদিকে লেনদেনের জন্য বিভিন্ন মানের প্রচলিত নোট ও মুদ্রা বাজারে আছে।
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের প্রথম নোট ছাপা হয়। ১৯৭২ সালের ২ জুন প্রথম বাজারে ছাড়া হয় ১০ টাকার নোট। এরপর ধীরে ধীরে বাজারে আসে ১, ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০ ও ৫০০ টাকার নোট। এছাড়া স্বাধীনতার পর থেকে ধীরে ধীরে বাজারে ছাড়া হয় ১, ৫, ১০, ২৫, ৫০ পয়সা ও ১, ২, ৫ টাকার কয়েন।