খবর৭১ঃ অনেক গবেষক প্রমাণ পেয়েছেন প্রক্রিয়াজাত (মাংস দিয়ে তৈরি বিভিন্ন খাবার) লাল মাংস খাওয়া মানুষের কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
আর তবে অপ্রক্রিয়াজাত (সরাসরি মাংস) মাংস, মাছ ও মুরগি কি কম ক্ষতিকর? বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে, বেকন, হট ডগ, সসেজ ও অন্যান্য প্রক্রিয়াজাত মাংস কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি এবং আয়ু হ্রাসের সঙ্গে সম্পর্কিত।
এসব খাবারে উচ্চ মাত্রায় স্যাচুরেডেট ফ্যাট ও লবণ থাকে, যা কার্ডিওভাসকুলার রোগ এবং মৃত্যুর ঝুঁকি বৃদ্ধি করে।
তবে নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে স্বল্প পরিমাণেও এজাতীয় খাবার স্বাস্থ্যঝুঁকির জন্য যথেষ্ট।
তবে এখন প্রশ্ন হলো– অপ্রক্রিয়াজাত লাল মাংস, মুরগি ও মাছ কি মানব শরীরের জন্য একই রকমের ক্ষতিকর? এ খাবারগুলো কি সমানভাবে কার্ডিওভাসকুলার রোগ ও আয়ু হ্রাস করে।
নিউইয়র্কের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক ভিক্টর ডব্লিউ ঝংয়ের নেতৃত্বে একদল বিজ্ঞানী ছয়টি বিদ্যমান গবেষণার নতুন করে মেটা-বিশ্লেষণ শুরু করেন। নতুন এ বিশ্লেষণ জামা ইন্টারনাল মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
ঝং ও তার দল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৯ হাজার ৬৮২ জন প্রাপ্তবয়স্কের ডাটা বিশ্লেষণ করেছেন, যাদের কার্ডিওভাসকুলার রোগ নেই। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৪৪ শতাংশ পুরুষ এবং বাকিরা নারী ছিলেন। গবেষকরা ১৯৮৫-২০০২ সালের মধ্যে অংশগ্রহণকারীদের খাবার তালিকা নথিভুক্ত করেন এবং ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ৩০ বছর ধরে তাদের ক্লিনিক্যাল পর্যবেক্ষণ করেন।
১৯ বছরের মধ্যবর্তী ফলোআপ সময়কালীন ৬ হাজার ৯৬৩ কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঘটনা ঘটে এবং এতে ৮ হাজার ৮৭৫ জনের মৃত্যু হয়।
কার্ডিওভাসকুলার রোগগুলোর মধ্যে অংশগ্রহণকারীদের ৩৮ দশমিক ৬ শতাংশ করোনারি হার্ট ডিজিজ, ২৫ শতাংশ স্ট্রোক এবং ৩৪ শতাংশ হার্ট বিকল হওয়ার ঘটনা রয়েছে।
গবেষকরা বলেছেন, যে মানুষগুলো মাংস গ্রহণ করেছে, তাদের কার্ডিওভাসকুলার রোগের ঝুঁকি বেড়েছে। এ ছাড়া আয়ু হ্রাস হয়ে মৃত্যুর ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে।