খবর৭১ঃ কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির আবেদনের বিষয়টি তার পরিবারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির আবেদন সম্পূর্ণ তার পরিবারের ব্যাপার। তারাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
মঙ্গলবার জাতীয়তাবাদী তাঁতী দলের ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত শেষে তিনি এ কথা বলেন।
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে বিএনপির পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়াকে বেআইনিভাবে একটি মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাগারে আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। আমাদের সংবিধান অনুযায়ী মামলাটি জামিনযোগ্য। তিনি জামিন পেতে পারেন এবং পাওয়া উচিত। কিন্তু এ সরকার সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত তাকে জামিন না দিয়ে আটকে রেখেছে। আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলন করছি। গত দুই বছর ধরেই আমরা আন্দোলনের মধ্যে আছি।
খালেদা জিয়ার মুক্তির সংগ্রাম বেগবান করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা আমাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। কবর জিয়ারত করেছি। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর আমরা শপথ নিয়েছি– দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির সংগ্রাম অব্যাহত রাখব। একই সঙ্গে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আমাদের সংগ্রামকে আরও বেগবান করব।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এরই মধ্যে তার কারাজীবনের দুই বছর কেটে গেছে। কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়ায় গত বছরের ১ এপ্রিল মাসে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভর্তি করা হয়। এখনও তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন। গত ১১ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার ছয় স্বজন তাকে হাসপাতালে দেখে আসেন। বেরিয়ে এসে তারা জানান, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য তারা বিদেশ নিয়ে যেতে চান। এ জন্য প্যারোলে মুক্তি দিলে তাতে তাদের আপত্তি থাকবে না। অবশ্য প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে বিএনপি নেতারা দ্বিধাবিভক্ত।