সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করতে চায় নেপাল

0
608
সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করতে চায় নেপাল

খবর৭১ঃ ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহারের আগ্রহ প্রকাশ করেছে নেপাল। বাংলাদেশ সফররত নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ কুমার গাওয়ালি সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে বৈঠকে এই আগ্রহের কথা জানান।

সোমবার এই বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, নেপালের সঙ্গে ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট (এফটিএ) স্বাক্ষরের বিষয়ে দ্রুত কাজ চলছে। আমরা এফটিএ স্বাক্ষরে একমত হয়েছি। এজন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও চলছে। উভয় দেশের যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত করার জন্য সড়ক, নৌ এবং আকাশ পথ চালু করার বিষয়ে কাজ চলছে। এরই জেরে সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে নেপাল। আমরা এ বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করছি।

টিপু মুনশি বলেন, ‘নেপালের বিরাগনগর থেকে সৈয়দপুরের বিমানবন্দরের ফ্লাইং টাইম প্রায় ২৫ মিনিট। এ বিমানবন্দর তারা ব্যবহার করতে পারলে যোগাযোগটা সহজ হবে।’

নেপাল কবে থেকে সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারবে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটা উনাদের চাহিদা। আমি আজকে উনাদের বললাম আমি এ বিষয়ে ইমিডিয়েটলি সিভিল এভিয়েশন ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সাথে কথা বলব। আজকে প্রস্তাবের পর মনে হয়েছে এটা আমাদের ও উনাদের জন্য ভালোই হবে। প্রতিদিন এখন মোট দশটা ফ্লাইট ঢাকা থেকে সৈয়দপুর যাচ্ছে। উনারা যদি একটা-‍দুইটা ফ্লাইট শুরু করে তাহলে যোগযোগটা বাড়বে।’

দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্কের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, গত অর্থবছরে বাংলাদেশ নেপালে ৩৮.০৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। একই সময়ে আমদানি করেছে ১৮ দশমিক ১৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য। বাংলাদেশ এখন পাটজাত পণ্য, ব্যাটারি, তৈরি পোশাক, ঔষধসহ বেশ কিছু পণ্য নেপালে রপ্তানি করছে। উভয় দেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির সুযোগ রয়েছে।

এফটিএ স্বাক্ষরের মাধ্যমে এ বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি করা সম্ভব মন্তব্য করে মন্ত্রী আরও বলেন, আগামী ৩ ও ৪ মার্চ ঢাকায় বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে সচিব পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে এফটিএ স্বাক্ষর ও উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।

‘পর্যটন বিনিময়ের বিপুল সম্ভাবনা’

নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদ্বীপ কুমার গায়ওয়ালী বলে, বাংলাদেশের সঙ্গে নেপালের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং পর্যটক বিনিময়ের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। উভয় দেশ এসব সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে লাভবান হতে পারে।

প্রদ্বীপ কুমার গায়ওয়ালী বলেন, নেপাল ভারতের সহযোগিতায় হাইড্রো পাওয়ার উৎপাদন করছে, যা বাংলাদেশে রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ, ভুটান, ইন্ডিয়া, নেপাল (বিবিআইএন) প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সংশ্লিষ্ট সকল দেশ উপকৃত হবে বলেও জানান তিনি।

বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান (সচিব) ফাতেমা ইয়াসমিন উপস্থিত ছিলেন। নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সে দেশের পররাষ্ট্র সচিব ছিলেন।

শংকর দাস বৈরাগী, ঢাকায় নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ড. বানশিধর মিশ্র, নেপালের পররাষ্ট্র মন্ত্রণারয়ের যুগ্ম সচিব ইয়াগা বাহাদুর হামালসহ অন্য কর্মকর্তারাও এসময় উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here