খবর৭১ঃ সিঙ্গাপুরে আরও দুজন বাংলাদেশি নাগরিক প্রাণসংহারি নোভেল করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্ত হয়েছেন। এর আগে সিঙ্গাপুরে থাকা দুই বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। এখন এই সংখ্যা বেড়ে চারে দাঁড়াল। দেশটিতে মোট রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৫৮ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়য়ের বরাতে দি স্ট্রেইটস টাইমস পত্রিকা এ তথ্য জানায়। খবরে বলা হয় দেশটিতে আরও আটজন কভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে দুজন বাংলাদেশি।
আক্রান্ত দুই বাংলাদেশি শ্রমিকের বয়স ৩০ ও ৩৭ বছর। তারা দুজনই সেলেটার অ্যারোস্পেসের হাইটসের কাজ করেন।
এর আগে যে দুই বাংলাদেশি আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাদের কর্মস্থলও একই এলাকায়। অর্থাৎ এই এলাকার চারজনের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণ ঘটল।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশি একজন গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে অসুস্থ ছিলেন, পরীক্ষায় বৃহস্পতিবার তার দেহে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। আগে আক্রান্ত দুই ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন এই বাংলাদেশি।
তিনি বলছেন, অসুস্থ হওয়ার পর থেকে তিনি ক্যাম্পবেল লেইনের ভাড়া বাসার মধ্যেই ছিলেন।
সিঙ্গাপুরে নতুন যে আটজন কফিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের কারও সাম্প্রতিক সময়ে তারা কেউ চীনে ভ্রমণ করেননি।
আক্রান্ত আটজনকে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফেকশনাল ডিজিজেসে আলাদাভাবে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে দি স্ট্রেইটস টাইমস।
এই আটজনের মধ্যে পাঁচজন একটি গির্জায় গিয়ে ভাইরাস সংক্রমণের শিকার হন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তারা সবাই সিঙ্গাপুরি, এর মধ্যে সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির একজন অধ্যাপকও রয়েছেন।
বাকি তিনজনের মধ্যে বাংলাদেশি দুজন বাদে অন্য সিঙ্গাপুরের পরিবারের একজন আগেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
পূর্ব এশিয়ার দ্বীপ দেশ সিঙ্গাপুরে সব মিলিয়ে ১ লাখ ৩০ হাজার বাংলাদেশি রয়েছেন বলে ধারণা করা হয়।
তাদের নতুন এ করোনাভাইরাস থেকে সতর্ক থাকতে এবং প্রয়োজনে হাই কমিশনে যোগাযোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এম জে এইচ জাবেদ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী চীনের বাইরে এ পর্যন্ত ২৫টি দেশে আড়াইশর বেশি মানুষের মধ্যে নতুন করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। এর মধ্যে সিঙ্গাপুরেই আক্রান্তের সংখ্যা সর্বোচ্চ।
গত বছরের শেষ দিনে এই চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে নতুন ধরনের এই করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়। ভাইরাসে বৃহস্পতিবার হুবেইতে একদিনেই ২৪২ জন মারা গেছেন। এটি একদিনের মৃত্যুর রেকর্ড। এ নিয়ে এই ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছেছে ১৩৬৯ জনে। আর আক্রান্তের সংখ্যা ৫২ হাজার ছাড়িয়েছে।