করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১১১৪

0
448
চীনের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়াল ইরান, পাঠাল ৩০ লাখ মাস্ক

খবর৭১ঃ প্রতিদিনই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা। আগের দিনকে পেছনে ফেলছে পরের দিন।

মঙ্গলবারই এ ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। এদিন চীনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে নতুন করে ১০৮ জন মারা গেছেন। যা ছিল একদিনে মৃতের সংখ্যায় সর্বোচ্চ। মঙ্গলবার দিন পর্যন্ত সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় এক হাজার ১৬ জন।

আজ সে সংখ্যায় যুক্ত হয়েছে আরো ৯৮ জন। সবমিলিয়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১,১১৪ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ হাজার ৯৩১ জন।

এ পরিসংখ্যান দিয়েছে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা নিয়ে লাইভ আপডেট দেয়া ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডমিটারস। তবে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা আগের থেকে কিছুটা কমেছে বলে জানাচ্ছে ওয়েবসাইটটি।

তারা আরো তথ্য দিচ্ছে, এখন পর্যন্ত চীনে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৪ হাজার ৫৩৬ জন।

আর আক্রান্ত মোট ৪৪, ৯৩১ জনের মধ্যে ৮ হাজার ২৪২ জনের অবস্থা শংকটাপন্ন।উৎপত্তিস্থল চীনের পর করোনাভাইরাস সবচেয়ে বেশি বিস্তার লাভ করেছে জাপানে।

জাপানের ইয়োকোহামায় মাঝ সমুদ্রে দাঁড়িয়ে থাকা ডায়মন্ড প্রিন্সের ক্রুজ শিপে কোয়ারেনটাইনে থাকা ৩৭০০ জন ক্রু ও যাত্রীর মধ্যে আরও ৬৫ জনের দেহে মিলেছে এই ভাইরাস। সবমিলিয়ে জাপানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২০২ জন।

এদিকে সিঙ্গাপুরে আরও এক বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে সিঙ্গাপুরের জাতীয় দৈনিক স্ট্রেইট টাইমসের অনলাইন প্রতিবেদন জানায়, মঙ্গলবার নতুন করে দুই জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩৯ বছর বয়সী একজন বাংলাদেশি নাগরিক বলে নিশ্চিত করা হয়েছে।

ওই ব্যক্তি সেলেটার অ্যারোস্পেস হাইটস নামের একটি এলাকায় কাজ করতেন। সিঙ্গাপুরের এনসিআইডির আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করে সেখানে তার চিকিৎসা চলছে বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

দেশটিতে এ নিয়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৪৭ জনে।

অন্তত ৩০টি দেশে শনাক্ত হয়েছে এই ভাইরাস। চীনের মূল ভূখণ্ডের বাইরে হংকং ও ফিলিপিন্সে কেবল দুজন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমে গেলেও চলতি ফেব্রুয়ারিতে তা চূড়ায় গিয়ে পৌঁছাতে পারে বলে জানিয়েছেন দেশটির শীর্ষ চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ জং ন্যানসান।

রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি প্রদেশে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটছে। নতুন আক্রান্তের সংখ্যা কমে আসছে।

তবে রোগ নিয়ন্ত্রণে উহানে যে পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, সেটাকে অপরিহার্য বলে আখ্যায়িত করেন এই চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ। আর বন্যপ্রাণীর ব্যবসা স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধ করা উচিত বলেও মনে করেন তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here