খবর৭১ঃ উচ্চ রক্তচাপ ভয়ঙ্কর পরিণতি ডেকে আনতে পারে। অনেক সময় উচ্চ রক্তচাপের কোনো প্রাথমিক লক্ষণ দেখা যায় না। নীরবে উচ্চ রক্তচাপ শরীরের বিভিন্ন অংশকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। এ জন্যই উচ্চ রক্তচাপকে ‘নীরব ঘাতক’ বলা যেতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত ও চিকিৎসাবিহীন উচ্চ রক্তচাপ থেকে মারাত্মক শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে।
চিকিৎসকদের মতে, শরীরে রক্তচাপ বাড়ার মূল কারণ অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন। এ ছাড়া খাদ্যতালিকায় অবশ্যই পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। আধুনিক জীবনে কাজের চাপ, দুশ্চিন্তা, বিভিন্ন ব্যস্ততার জাঁতাকলে রক্তচাপ হঠাৎ বেড়ে যেতেই পারে।
বর্তমানে বয়স ৩০ পেরোলেই ঝুঁকি বাড়ে উচ্চ রক্তচাপের। উচ্চ রক্তচাপে হার্টঅ্যাটাক-স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়।
কত থাকলে ভালো?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একজন সুস্থ ব্যক্তির রক্তচাপের স্বাভাবিক মাপ হিসেবে ১২০/৮০-কে নির্দিষ্ট করে। পরে জীবনযাপনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই অঙ্কই তারা বাড়িয়ে ১৩০ করে।
সম্প্রতি প্রকাশিত আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের নির্দেশিকা অনুযায়ীও এই মাপকে ১৩০ ধরা হয়েছে।
তবে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, ১৪০ পর্যন্ত চাপ উঠলেও শঙ্কার কারণ নেই। তার চেয়ে বেশি থাকলে তবেই তাকে উচ্চ রক্তচাপ বলা যাবে।
কী করবেন?
১. বয়স ৩০ পেরোলেই নিয়ম করে রক্তচাপ মেপে চলুন। বাড়িতে এই যন্ত্রও কিনেও রাখতে পারেন।
২. ধূমপান, অতিরিক্ত মদ্যপান, লাগামছাড়া চা-কফি খাবেন না।
৩. মাসে এক আধবার ২-৩ টুকরো পাঁঠার মাংসে কোনো ক্ষতি নেই।
৪. বিরিয়ানির মাংস খেলে ক্ষতি নেই। তবে মাংসের ঝোল খাবেন না। মাংসের ঝোলে মাংসের ফ্যাট মিশে থাকে, আর আমরা মাংস কম খেয়ে ঝোলটুকুই বেশি খাই।
৫. সবুজ শাকসবজি ও ফলমূল খান। জোর দিন পটাশিয়ামসমৃদ্ধ ফলমূলের ওপর।
৬. ব্লাডপ্রেশার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের অন্য কোনো সমস্যা বাড়ছে কিনা সে দিতে খেয়াল রাখুন।
৭. লবণ কম খান। সোডিয়ামসমৃদ্ধ খাবারেও না খাওয়ার অভ্যাস করুন।
৮. ডায়েট থেকে ফ্যাটও একেবারে বাদ নয়। কারণ শর্করা ও প্রোটিনের পাশাপাশি ফ্যাটও দরকার শরীরে