খবর৭১ঃ ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আদালতেও অভিযুক্ত হয়েছেন। ঘুষ গ্রহণ, বিশ্বাস ভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে জেরুজালেমের একটি আদালত। নেতানিয়াহু প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে ওয়াশিংটনে আছেন। এ বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনা প্রকাশ করার কথা। খবর রয়টার্স ও আল-জাজিরার
অভিযোগ গঠন করা হলেও প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তবে বিরোধী নেতা বলেছেন, তিনটি ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা উচিত নয়।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে অভিযোগ থেকে মুক্তি পেতে নেতানিয়াহু পার্লামেন্টের কাছে আবেদনে এ নিয়ে বিতর্কের আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে আদালতে অভিযোগ গঠনের কিছুক্ষণ পরেই তিনি ফেসবুকে এক পোস্টে সেই আবেদন প্রত্যাহার করে নেন। তিনি জানান, পার্লামেন্টের ঐ বিতর্ক হবে সার্কাস। তাই তিনি সেখানে অংশ নিতে চান না। তার পরও পার্লামেন্টে বিতর্ক হতে পারে বলে জানা গেছে। নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিচার চলতে আর কোনো বাধা নেই। বিচারকাজ সম্পন্ন হতে কয়েক মাস কিংবা কয়েক বছর লেগে যেতে পারে। ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে নেতানিয়াহুকে ১০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে। আর প্রতারণার অভিযোগে তার তিন বছর সাজা হতে পারে।
৭০ বছর বয়সী নেতানিয়াহু বলেছেন, একজন ডানপন্থী নেতাকে সরাতেই এ অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। বিরোধী নেতা বেন্নি গনতজ বলেন, তিনটি ফৌজদারি অপরাধ করে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন নেতানিয়াহু যা উচিত নয়।
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিচার চলতে কোনো বাধা নেই উল্লেখ করে বেন্নি গনতজ বলেন, জনগণই ঠিক করবে কে তাদের শাসনকার্য পরিচালনা করবে। বেন্নি গনতজও ওয়াশিংটনে আছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য। বিশ্লেষকরা বলছেন, নেতানিয়াহু তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনকে ঢেকে দিতে চাইবেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাতের মাধ্যমে। তিনি মূলত মধ্যপ্রাচ্য শান্তি পরিকল্পনাকেই জনগণের মাঝে গুরুত্বসহকারে উপস্থাপন করবেন। গত বছর পুলিশ নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে।