খবর৭১ঃ
স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছে পাবনার চাটমোহর উপজেলার সেই রাবেয়া-রোকেয়া। দীর্ঘ ও জটিল চিকিৎসা শেষে শিশু দুটির জোড়া মাথা আলাদা করা হয়। এখন ভাল আছে সেই রাবেয়া-রোকেয়া। দুই সন্তান নিয়ে হাসিমুখে বাড়ি ফিরে গেছেন রফিকুল ইসলাম ও তাসলিমা খাতুন।
রাবেয়া-রোকেয়া ২০১৬ সালের ১৬ জুলাই পাবনার চাটমোহর উপজেলার রফিকুল ইসলাম ও তাসলিমা দম্পতির ঘরে মাথা জোড়া লাগা অবস্থায় জন্মগ্রহণ করে। গুরুতর এই ক্রুটি নিয়ে ছোট্ট শিশু দুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর ‘শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট’ উদ্বোধনকালে তাদের চিকিৎসার দায়িত্ব নেন। গঠন করা হয় মেডিকেল বোর্ড। চিকিৎসার জন্য তাদের হাঙ্গেরির বুদাপেস্টের একটি হাসপাতালে ৭ মাস রাখা হয়। বেশ কয়েক দফা অপারেশনও হয়েছিল শিশু দুটির।
সর্বশেষ, ২০১৯ সালের ২ আগস্ট ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে ঘটে এক যুগান্তরকারী ঘটনা। দেশের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ছাড়াও হাঙ্গেরির ৩৫ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার টানা ৩৩ ঘণ্টা অপারেশন চালিয়ে দুই বোনের জোড়া লাগা মাথা আলাদা করেন। সেই সার্জারির পর সিএমএইচ হাসপাতালে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাবেয়া-রোকেয়াকে দেখে আসেন।
আর আজ তিনি শিশু দুটির সুস্থ জীবনে ফিরে যাওয়ার কথা জানান। রবিবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ফাস্ট ট্র্যাক প্রজেক্ট মনিটরিং কমিটির সভার শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ তাদের ছবি সবাইকে দেখিয়ে বলেন, ‘আমাদের রাবেয়া-রোকেয়া ভাল আছে’।