খবর৭১ঃ
হাবিবুর রহমান নাসির, ছাতক প্রতিনিধিঃ ছাতকের ইসলাম পুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত মৌলভী গাও, জৈন্তাপুর, রহমতপুর এই তিনটি গ্রামে বসবাস করেন আড়াই শতাধিক পরিবারে প্রায় দুই হাজারেরও বেশি মানুষ। ওই তিনটি গ্রামের মানুষ জনেরা আর্থিক ভাবে দূর্বল থাকায় তাদের সন্তানদের পড়াশোনার জন্য কোন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্টান গড়ে তুলতে পারেননি।
তিনটি গ্রামের মধ্যে একটিতেও নেই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ফলে আধুনিক ও তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে এসেও তাদের সন্তাননেরা আদিযুগের মতো বসবাস করছেন। মৌলভী গাও, জৈন্তাপুর, রহমতপুর, কোমলমতি শিশু, কিশোর ও কিশোরীদেরকে আধুনিক ও তথ্য প্রযুক্তির সাথে সম্পৃক্ত করতে দেবদূতের মতো পাশে দাড়িয়েছেন উপজেলা ইউ আরসি ইন্সট্রাকটর মোস্তফা আহসান হাবিব। তিনি ইসলাম পুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত মৌলভী গাও, জৈন্তাপুর, রহমতপুর বে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নামে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্টার উদ্যোগ গ্রহন করেন। ইউপি সদস্য মো: কামাল হোসেন ওই বিদ্যালয় প্রতিষ্টার সাথে সম্পৃক্ত করেন। বর্তমানে মৌলভী গাও, জৈন্তাপুর, রহমতপুর বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণী থেকে ২য় শ্রেণী পর্যন্ত। ৩ জন শিক্ষক রয়েছেন।
এব্যাপারে ইউ আরসি ইন্সট্রাকটর মোস্তফা আহসান হাবিব বলেন, গত অক্টোবরে উপ নির্বাচনে ভোট গ্রহনে যেখান যান উপজেলা ইউ আরসি ইন্সট্রাকটর মোস্তফা আহসান হাবিব।সেখানে কোন প্রতিষ্টান না থাকায় খোলা আকাশের নিচে কাপড় দিয়ে ভোট কক্ষ তৈরীকরে, সে কক্ষ গুলোতে ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়। আমি এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানতে পারি এখানে ৩ টি গ্রামের মাঝে কোন প্রতিষ্টান নেই। তাই আমি সেখান থেকে এসে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যারের সাথে আলাপ করি।
পিছিয়ে পরা শিশুদের আলোর পথ দেখাতে এগিয়ে ্এলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যার মোঃ গোলাম কবির ইউপি ইউপি সদস্য মো: কামাল হোসেন । তাঁদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হলো একটি বিদ্যালয়।স্থানীয় সমাজ হিতৈষী ও এলাকার বিত্তবানের সহযোগিতায় ৫ জন ভুমি দাতার ২০ শতক ভূমির ওপর টিনের এক চালায় নির্মাণ করা হলো একটি বিদ্যাপীঠ। সেই স্বপ্নের বাতিঘরটির।