খবর৭১ঃ
তিশা সেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতঃ দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বিজয় অর্জন করলেও যাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধারা, সেই অভিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে অপূর্ণতা থেকে গিয়েছিল বিজয়ের গৌরব উদ্যাপনে।
অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষা আর উৎকণ্ঠার অবসান ঘটিয়ে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু স্বাধীন দেশের মাটিতে পা রাখেন। সেই থেকে দিনটি পালিত হচ্ছে জাতির জনকের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে। দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু এক বৈষম্যহীন সমাজ গড়াসহ অনেক স্বপ্নের কথা বলেছিলেন। সেই বাংলাদেশ এখন বাস্তবে রূপ নিচ্ছে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অক্লান্ত পরিশ্রমে। সংযুক্ত আরব আমিরাতে এই দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব বলেন বক্তারা। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) শারজাহের একটি রেস্তোরায় সংযুক্ত আরব আমিরাত আওয়ামী লীগের উদ্যোগে উক্ত আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আমিরাত আওয়ামী লীগের সদস্য সচিব আলী হাসান ভূইয়ার সভাপতিত্বে ও দুবাই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ময়নুল হোসাইনের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক এস এম সুজন। প্রধান বক্তা ছিলেন সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল খালিক। বিশেষ অতিথি ছিলেন দুবাই আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী শফিকুল ইসলাম, প্রবাসি সুনামগঞ্জ সমিতির সভাপতি শাফিকুল হক, আমিরাত আওয়ামী রীগ আহবায়ক কমিটির সদস্য আব্বাস উদ্দিন, কমলগঞ্জ সমিতির সভাপতি মুহিদ চৌধুরী, শারজাহ আওয়ামী লীগের প্রধান উপদেষ্টা বচন মিয়া তালুকদার, বঙ্গবন্ধু পরিষদ শারজাহের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহেবুল মোস্তাফা, আক্তারুজ্জামান বাবু স্মৃতি সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আনসার নূর, শারজাহ আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি তারা মিয়া বকুল সহ আরো অনেকে। বক্তব্য রাখেন রানা হামিদ, জাহাঙ্গীর আলম, মহিউদ্দিন জালালি, রুবেল আহমদ, আব্দুল হক, শাহিন আল রাজি সহ আরো অনেকে। জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহিদ সহ দেশের সকল সংগ্রামে নিহত শহিদানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নিরবতা পালন করা হয়।