খবর৭১ঃ প্রতীক বরাদ্দের দ্বিতীয় দিন গতকালও রাজধানীতে দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন। রাজধানীর অলিগলিতে মাইকিং, পোস্টারিং ও লিফলেট বিলি করা হয়েছে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পক্ষ থেকে। দিনভর মিরপুরে গণসংযোগ করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। উত্তরখানসহ ১৭, ৪৫, ৪৬, ৫০ ও ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেন বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী তাবিথ আউয়াল।
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ ধানের শীষের প্রার্থী বিএনপির ইশরাক হোসেনের আর কে মিশন রোডের গোপীবাগের সেকেন্ড লেনের বাসায় যান নৌকার প্রার্থী ফজলে নূর তাপস। রাজধানীর মতিঝিল ও শাহজাহানপুর এলাকায় দিনভর নেতা-কর্মীদের নিয়ে গণসংযোগ করেন ধানের শীষের প্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি, সিপিবি ও ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থীরা রাজধানীতে গণসংযোগ করেন।
মিরপুরে গণসংযোগে ব্যস্ত সময় কাটালেন আতিক : পরিকল্পিত, আলোকোজ্জ্বল ঢাকা গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজধানীর মিরপুরের ভোটারদের কাছে ভোট চাইলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। গতকাল দুপুরে মিরপুর শাহ আলী মাজারের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন তিনি। শাহ আলী মাজারের রওজা জিয়ারত করে মোনাজাত শেষে তিনি গণসংযোগে নামেন।
ভোটারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আতিকুল বলেন, ‘৯ মাসের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পরিকল্পিত, আধুনিক, সচল ঢাকা গড়ে তোলা আমার লক্ষ্য। শুরু করা কাজ এগিয়ে নিতে চাই।
মেয়র নির্বাচিত হলে আমি মানবিক ঢাকা গড়ব। ঢাকা শহরের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ যানজট ও জলজট। আমার এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার অভিজ্ঞতা আছে। ’ তিনি বলেন, ‘নারীরা যাতে অবাধে চলতে পারে, এজন্য পুরো শহরে আমরা প্রায় ৪৮ হাজার এলইডি লাইট লাগানোর পরিকল্পনা নিয়েছি। আমরা স্মার্ট সিটি করতে চাই
ওয়ার্ডগুলোতে বিভিন্ন সমস্যা আছে। আমরা ওয়ার্ডভিত্তিক সেসব সমস্যার সমাধান করব। এ ছাড়া মেয়র থেকে কাউন্সিলর সবারই জবাবদিহি নিশ্চিত করতে চাই। ’ প্রচারের সময় শাহ আলীর মাজার প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়েছিলেন ঢাকা-১৪ আসনের এমপি আসলামুল হক আসলাম এবং ঢাকা-১৩ আসনের এমপি সাদেক খান। কিছুক্ষণ অবস্থান করে তারা চলে যান। এমপিদের প্রচারে অংশগ্রহণ আচরণবিধি লঙ্ঘন কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘ওনারা প্রচারে অংশ নেননি। এসে কিছুক্ষণ পরই চলে গেছেন। ’
এরপর শাহ আলীর মাজার থেকে মিরপুর-১-এর দিকে গণসংযোগ শুরু করেন তিনি। নির্বাচনী ব্যানার লাগানো ট্রাকে উঠে মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় যান আতিক। রূপনগর, মিরপুর-২-এর বিভিন্ন অলিগলি ঘোরেন তিনি। দোকানে, ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে লিফলেট দেন তার কর্মী-সমর্থকরা। বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এ এলাকায় গণসংযোগ করেন তিনি। এরপর রাত ৮টায় উত্তরায় তার নির্বাচনী কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর তাঁতী লীগের সঙ্গে মতবিনিময় করেন আতিক।
ধানখেতে নেমে কৃষকের কাছে তাবিথের ভোট প্রার্থনা : রাজধানীর উত্তরখানে গণসংযোগকালে উত্তরখানের শাহ কবির মাজার জিয়ারত করেন বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী তাবিথ আউয়াল। বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগকালে তিনি দুর্নীতি দমনসহ ১২টি সমস্যা দূর করার প্রতিশ্রুতি দেন। বিএনপির এই প্রার্থী ময়নারটেক এলাকায় ধানখেতে নেমে কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন, ভোট চান। কৃষকরা তাকে কাছে পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত হন। ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ব্যাপারীসহ স্থানীয় নেতা-কর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। সেখানে জনতার উদ্দেশে তাবিথ বলেন, ‘আগামী দিনে নিরাপদ শহর গড়ে তোলার জন্য যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, নির্বাচিত হলে তা বাস্তবায়ন করব। ’ মাজার জিয়ারত শেষে পুনরায় সংযোগকালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে প্রবেশ করে ৪৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী জয়নুল আবেদীনের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে ভোট চান তাবিথ। বিষয়টি উপস্থিত এলাকাবাসীর মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। সকালে রাজধানীর উত্তরখানের ৫০ নম্বর ওয়ার্ডে ধানের শীষের নির্বাচনী কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন তাবিথ। এ সময় বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী (ঘুড়ি প্রতীক) দেওয়ান মো. নাজিমুদ্দিনকে পরিচয় করিয়ে দেন তিনি। তাবিথ আউয়াল গতকাল ১৭, ৪৫, ৪৬, ৫০ ও ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন উত্তরার আজমপুর কাঁচাবাজার এলাকা থেকে সকালে নির্বাচনী প্রচার শুরু করে উত্তরখানের দেওয়ানবাড়ী, চৈতি গার্মেন্টস এলাকা, মাজার রোড, চামুরখান, ময়নারটেক, মাস্টারবাড়ী, আটপাড়া, ফায়েদাবাদ চৌরাস্তা ও খিলক্ষেত বাজার এলাকায় গণসংযোগ করেন। খিলক্ষেত ও লেকসিটি এলাকায় গণসংযোগের মধ্য দিয়ে সন্ধ্যায় দ্বিতীয় দিনের গণসংযোগ শেষ করেন তাবিথ আউয়াল। এ সময় খিলক্ষেত কাঁচাবাজার এলাকায় ১৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী শাহীন আলম মারফতের নির্বাচনী কার্যালয় উদ্বোধন করেন। দিনভর তার সঙ্গে গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নিপুণ রায় চৌধুরী, ঢাকা মহানগর উত্তরের সহ-সভাপতি বজলুল বাসিত আনজু, যুবদলের ঢাকা উত্তরের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর, দক্ষিণখান থানা বিএনপির সভাপতি শাহাবুদ্দিন, উত্তরা থানার সভাপতি সালাম সরকার প্রমুখ। সকালে উত্তরার জয়নাল মার্কেট থেকে প্রচারণা শুরু করেন তাবিথ। এ সময় হাজার হাজার নেতা-কর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষ তার সঙ্গে যুক্ত হন। বিভিন্ন বাসা-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে শত শত মানুষ বিএনপি প্রার্থীকে শুভেচ্ছা জানান। তাবিথ আউয়ালও হাত নেড়ে তাদের শুভেচ্ছার জবাব দেন।
ইশরাকের বাসায় তাপস বললেন, সম্প্রীতির রাজনীতি চলবে : গতকাল সকালে রাজধানীর ঐতিহাসিক রোজ গার্ডেন থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। সেখানে শেখ ফজলে নূর তাপস পৌঁছালে ফুলের নৌকা উপহার দিয়ে তাকে বরণ করে নেন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা। এ সময় তাপস পুরান ঢাকাকে আধুনিক হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নৌকার পক্ষে ভোট চান। নেতা-কর্মীদের এলাকাভিত্তিক টিম গড়ে তুলে নৌকাকে বিজয়ী করতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চাওয়ার আহ্বান জানান তিনি। দুপুরের দিকে প্রতিপক্ষ প্রার্থী বিএনপির ইশরাক হোসেনের আর কে মিশন রোডের গোপীবাগের সেকেন্ড লেনের বাসায় যান তাপস। সেখানে গিয়ে নৌকায় ভোট চান তিনি। তবে সেখানে গণমাধ্যমকর্মীদের যেতে দেওয়া হয়নি। এ সময় তিনি বলেন, এখন থেকে ঢাকায় সম্প্রীতির রাজনীতি চলবে। সম্প্রীতির রাজনীতির মাধ্যমেই উন্নয়ন সম্ভব।
এ সময় তাপসের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, কার্যনির্বাহী সদস্য সাবেক মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি আবু আহমেদ মান্নাফি, সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক দিলীপ রায়, ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী আশিকুর রহমান লাভলু, সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন, যুবলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রচারণায় শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘ঢাকা শহরে মাদকসহ অন্য অপরাধমূলক সামাজিক যে ব্যাধিগুলো রয়েছে, সেগুলো দূর করা হবে। আমরা এলাকাভিত্তিক সমস্যাগুলো সমাধান করব। আমরা ঢাকাকে উন্নত দেশের উন্নত রাজধানী হিসেবে গড়ে তুলব। ’
ফল পাল্টানোর চেষ্টা হলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি ইশরাকের : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন দলীয় নেতা-কর্মীসহ ভোটারদের উদ্দেশে বলেছেন, ‘যে কোনো সমস্যায় আমি নিজে আপনাদের সঙ্গে আছি। ’ তিনি বলেন, ‘আমরা পুলিশকে ভয় পাই না। আমরা মুক্তিযোদ্ধার জাতি। ১৩ বছর ধরে যারা ক্ষমতায় রয়েছে, আমরা তো দেখেছি তারা কী করতে পারে। ’ গতকাল বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে এবং ৩টার দিকে মালিবাগ কমিউনিটি সেন্টার থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো প্রচারণা শুরুর প্রাক্কালে ইশরাক হোসেন এসব কথা বলেন। গণসংযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, বিএনপি নেতা হাবিবুর রশিদ, ইউনূস মৃধাসহ দল ও অঙ্গ-সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন। মতিঝিল-শাহজাহানপুর থানা এলাকায় গণসংযোগ শেষে বেলা ৩টার দিকে খিলগাঁও ও মালিবাগ চৌধুরীপাড়া এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি বক্তৃতা করেন। বিকালে মালিবাগ কমিউনিটি সেন্টার থেকে প্রচারণা শুরু করে ইশরাক মালিবাগ আনসার ক্যাম্পের সামনে দিয়ে খিলগাঁও চৌরাস্তা, তিলপাপাড়া, দক্ষিণ গোড়ান, উত্তর গোড়ান, সিপাহিবাগ, ভূঁইয়াপাড়া, মধ্য মেরাদিয়া, মেরাদিয়া মেইন রোড ও কাঁচাবাজার হয়ে মাদারটেক, বাসাবো হয়ে আংশিক মুগদাপাড়া হয়ে গোপীবাগে গিয়ে শেষ করেন। এর মধ্যে ভূঁইয়াপাড়া জামে মসজিদে গিয়ে মাগরিবের নামাজ আদায় করেন তিনি। নামাজ শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও ইশরাক হোসেন মুসল্লিদের উদ্দেশে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন।
এরশাদের কবর জিয়ারত করলেন মিলন : দ্বিতীয় দিনের প্রচারণা শুরুর আগে রংপুরে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবর জিয়ারত করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জাপার মেয়র প্রার্থী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন। বিকালে রংপুর থেকে ফিরে দক্ষিণ সিটির বিভিন্ন জায়গায় লাঙ্গলের পক্ষে প্রচারণা চালান তিনি। এ সময় তিনি বলেন, ‘পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ রাজধানীর উন্নয়নে নানা কাজ করেছেন।
প্রচারে ব্যস্ত সিপিবির মেয়র প্রার্থী রুবেল : ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনে কাস্তে মার্কা নিয়ে প্রচারে ব্যস্ত কমিউনিস্ট পার্টির মেয়র প্রার্থী ডা. আহাম্মদ সাজেদুল হক রুবেল। তিনি গতকাল রাজধানীর মিরপুর, সেনপাড়া, কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়ার বিভিন্ন স্থানে পথসভা-গণসংযোগ করেছেন। এ সময় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ডা. আহাম্মদ সাজেদুল হক রুবেল। পথসভাগুলোতে রুবেল বলেন, বড় দুই শাসকশ্রেণির দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মেয়র প্রার্থীরা নির্বাচনের প্রথম দিনই আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচার কার্যক্রম শুরু করেন, যা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। তিনি অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানান।
বাসযোগ্য নগরী উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি আবদুর রহমানের : ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে দ্বিতীয় দিনও জোরেশোরে প্রচারণা করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আবদুর রহমান। গতকাল সকাল থেকে হাতপাখার পক্ষে প্রচারণা চালান তিনি। এ সময় তিনি বলেন, ‘ঢাকার ৪০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা হবে। ঢাকার ঐতিহ্যকে ধ্বংস করা হয়েছে। হাতপাখা বিজয়ী হলে বাসযোগ্য নগরী উপহার দেব ইনশা আল্লাহ।
জনবান্ধব সিটি গড়ার অঙ্গীকার মাওলানা মাসউদের : ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র প্রার্থী অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, ‘সুষ্ঠু নির্বাচনের এখনো কোনো পরিবেশ দেখা যাচ্ছে না। শঙ্কা নিয়েই আমরা মাঠে আছি। কারণ মাঠ ছেড়ে দিলে আবর্জনায় ভরে যাবে। আমরা তা চাই না। হাজারো প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও আমরা মাঠে থাকতে চাই। ’ দূষণ, দুর্নীতি ও অপরিকল্পিত নগরায়ণকে ঢাকা সিটির প্রধান সমস্যা উল্লেখ করে তিনি দুর্নীতি ও দূষণমুক্ত স্মার্ট ঢাকা গড়ার অঙ্গীকার করেন।