খবর৭১ঃ
মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুর থেকেঃ বেকারী শিল্পের কাঁচামালের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রংপুর বিভাগীয় বেকারী শিল্প মালিকরা। সহসাই যদি এ শিল্পের কাঁচামালের মূল্য না কমে তাহলে অনেক বেকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে এর সাথে জড়িত হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে যাবে।
তাই এ ক্ষুদ্র শিল্পকে বাঁচাতে কাঁচামালের বাজার নিয়ন্ত্রণে দ্রুত সরকারের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। সৈয়দপুরে গতকাল শনিবার সকালে বাংলাদেশ ব্রেড, বিস্কুট ও কনফেকশনারী প্রস্তুতকারক সমিতির রংপুর বিভাগীয় সভায় ওই অভিমত ব্যক্ত করা হয়। শহরের ইকু হেরিটেজ এ্যান্ড রিসোর্ট মিলনায়তনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় রংপুর বিভাগের ৮ জেলার সংগঠনের নেতাদের নিয়ে ওই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্রেড,বিস্কুট ও কনফেকশনারী প্রস্তুতকারক সমিতির নীলফামারী জেলা কমিটির সভাপতি ও ডায়মন্ড কনফেকশনারীর মালিক মো. আখতার সিদ্দিকী পাপ্পু।
সভায় মূখ্য আলোচক ছিলেন উত্তরবঙ্গ পরিষদের ব্রেড, বিস্কুট ও কনফেকশনারী প্রস্তুতকারক সমিতির সভাপতি ও দিনাজপুর জেলার রাজিব বেকারীর মালিক মো. মাকসুদুল আলম পাটোয়ারী। এতে আলোচক ছিলেন রংপুর সাংগঠনিক বিভাগ ১ ও ২ এর সভাপতি যথাক্রমে রিয়াজ শাহিদ শোভন ও মো. সাইফুল্লাহ। এতে বেকারী শিল্পের বর্তমান অবস্থা থেকে উত্তরণের উপায় নিয়ে আলোচনা করেন রংপুর সাংগঠনিক বিভাগ ২-এর সাধারণ সম্পাদক দিনাজপুর মাসুম বেকারীর মালিক শামিম শেখ,রংপুর জেলা সভাপতি নুরুল হক মুন্না, রংপুরের মাজেদুল ইসলাম লাবলু,লালমনিরহাট জেলা সভাপতি মজিবুর রহমান মোল্লা,কুড়িগ্রামের সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, পঞ্চগড়ের সাধারন সম্পাদক আমিনুর রহমান রিলু, সৈয়দপুরের নুরুজ্জামান ও দুলাল হোসেন। সভায় বেকারী মালিকরা দফায দফায় বেকারী পণ্য তৈরীর কাঁচামালের লাগামহীন দাম বৃদ্ধিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন এসবের বাজার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করায় এর বিরুপ প্রভাব পড়েছে স্থানীয় বেকারী শিল্পে।
কিন্তু উৎপাদিত বেকারী পন্য আগের স্বল্প মূল্যেই বিক্রি করতে হচ্ছে। এতে প্রতিদিনই লোকসান গুনতে হচ্ছে বেকারী মালিকদের। বক্তারা এ অবস্থা নিরসনে দাম নিয়ন্ত্রণে সরকারি হস্তক্ষেপ ও লোকসান থেকে বাঁচতে বেকারী পণ্যের দাম বৃদ্ধির সুপারিশ করেন। একইসঙ্গে বেকারী ও কনফেকশনারীতে অভিযানের নামে হয়ারানী বন্ধের দাবি জানানো হয়।সভার আলোচনা শেষে সকলের সম্মতিতে বেকারী শিল্পকে বাঁচাতে উৎপাদিত বেকারী পণ্যের গুণগতমাণ আরও বাড়িয়ে দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। একই সঙ্গে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে রংপুর বিভাগের সকল জেলার সংগঠনকে উদ্যোগ নিতে বলা হয়।
এছাড়া বেকারী পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে ক্রেতারা যাতে বিভ্রান্তিতে না পড়ে সেজন্য পোস্টারিংসহ প্রতি জেলায় লিফলেট বিতরণের নির্দেশনা দেয়া হয়। এ সিদ্ধান্ত মনিটরিং করতে বেকারী মালিকদের নিয়ে মো. মাকসুদুল আলম পাটোয়ারীকে সমন্বয়ক করে ৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটির অন্যরা হলেন-রিয়াজ শাহিদ শোভন, মো. সাইফুল্লাহ,মো. শামিম শেখ ও মো. আখতার সিদ্দিকী পাপ্পু। এসভায় সৈয়দপুরসহ রংপুর বিভাগের দুই শতাধিক বেকারি মালিক উপস্থিত ছিলেন