খবর৭১ঃ ইউক্রেনের যাত্রিবাহী বিমান বিধ্বস্তের কারণ অনুসন্ধানে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে ইরান। পাশাপাশি বিমানে যে সব দেশের যাত্রীরা ছিলেন, সেই সব দেশকেও তদন্ত করার জন্য অনুমতি দিয়েছে তারা।
প্রথম থেকেই আমেরিকাসহ অন্য দেশগুলোকে এই তদন্তে অনুমতি দিতে অস্বীকার করেছিল ইরান। তবে এ বার তদন্তে আহ্বান জানানো হয়েছে মার্কিন ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (এনটিএসবি)-কে। টুইটারে এক বিবৃতি দিয়ে এমনই জানিয়েছে এনটিএসবি।
তারা আরও জানিয়েছে, ইরানের নেতৃত্বেই তদন্ত চালানো হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পশ্চিমী দেশগুলো থেকে চাপ বাড়তে থাকায় কিছুটা সুর নরম করতে বাধ্য হয়েছে ইরান।
এর আগে ইউক্রেনের যাত্রিবাহী বিমান বিধ্বস্ত নিয়ে প্রবল বিতর্কের মধ্যেই বৃহস্পতিবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো দাবি করেছেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতেই ভেঙে পড়েছিল বিমানটি। গেল বুধবার ৮ জানুয়ারি ইরানের খামিনি বিমানবন্দর থেকে ইউক্রেনগামী বিমান উড্ডয়নের সঙ্গে সঙ্গেই বিধ্বস্ত হয় ইউক্রেনের পিএস৭৫২ বিমানটি। এতে বিমানের ১৭৬ যাত্রী ও ক্রুর সবাই প্রাণ হারান। তাদের মধ্যে ইরানের ৮২, কানাডার ৬৩, ইউক্রেনের ১১, সুইডেনের ১০, চারজন আফগানিস্তান, তিনজন জার্মানি এবং অপর তিনজন ব্রিটিশ নাগরিক ছিলেন।
বিভিন্ন গোয়েন্দা সূত্রের তথ্যকে সামনে রেখে ট্রুডো এ দাবি করেন। এছাড়া ট্রুডো আরও বলেন, তবে ‘অনিচ্ছাকৃত’ ভাবেই ঘটেছে ঘটনা। ট্রুডোর বক্তব্যকে সমর্থন করে তদন্তের দাবি তুলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনও।