এ মাসেই চট্টগ্রাম-কলকাতা পরীক্ষামূলক ট্রান্সশিপমেন্ট

0
590
এ মাসেই চট্টগ্রাম-কলকাতা পরীক্ষামূলক ট্রান্সশিপমেন্ট

খবর৭১ঃ ভারতকে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা দিতে প্রস্তুত রয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর। চলতি মাসেই দুই দফা পরীক্ষামূলক (ট্রায়াল রান) ট্রান্সশিপমেন্ট হবে। তবে ভারতীয় জাহাজকে বার্থিংয়ে অগ্রাধিকার বা বিশেষ এলাকা দেয়া হবে কি-না সেটি চুক্তির ওপর নির্ভর করছে।

মঙ্গলবার দুপুরে বন্দর ভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার আজিজ এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘ট্রান্সশিপমেন্টের ক্ষেত্রে বন্দরের পক্ষ থেকে আমরা প্রস্তুত। আমাদের যথেষ্ট সক্ষমতা আছে। যদি জাহাজ আসে আমরা সেবা দিতে পারব। আর অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বার্থিং দেয়া বা স্পেশাল এরিয়া থাকবে কিনা চুক্তির ওপর সেটা নির্ভর করবে।

‘আমাদের জানানো হলে আমরা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে পারব। এ মাসেই দুটি ট্রায়াল রান হবে চট্টগ্রাম ও ক্যালকাটা বন্দরের মধ্যে। তারপরে রেগুলার রান হবে।’

ট্রান্সশিপমেন্টের ট্যারিফ (মাশুল) বিষয়ে জানতে চাইলে চবক চেয়ারম্যান বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত যেটা মাশুল সেটাই হবে।’

চট্টগ্রাম বন্দর সম্প্রসারণের জন্য ২০১৩ সালে একটা স্ট্র্যাটেজিক মাস্টারপ্ল্যান করা হয় উল্লেখ করে রিয়ার এডমিরাল জুলফিকার বলেন, ‘ওই মাস্টারপ্ল্যান পরবর্তী ৩০ বছরের জন্য, ২০৪৩ সাল পর্যন্ত। তখন কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ১৪ মিলিয়ন টিইইউএস হবে। আমরা এখন ৩ মিলিয়ন ক্লাবে।’

‘অর্থাৎ আরো ১১ মিলিয়ন টিইইউএস বাড়বে। যতই সম্প্রসারণ করি চট্টগ্রাম বন্দরে ৪ মিলিয়ন টিইইউএস এর বেশি হ্যান্ডলিং করতে পারব না। এজন্য আমরা বে টার্মিনাল ও মাতারবাড়ি টার্মিনাল করছি।’

বন্দর চেয়ারম্যান জানান, চট্টগ্রাম বন্দরে ২০১৮ সালে ২৯ লাখ ৩ হাজার টিইইউএস কন্টেইনার ওঠানামা হয়। ২০১৯ সালে এটি বেড়ে ৩০ লাখ ৮৮ হাজার টিইইউএসে দাঁড়ায়। এক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৩৪ শতাংশ।

মতবিনিময় সভায় বন্দরের সদস্য জাফর আলম, কমডোর এম শফিউল বারী ও ক্যাপ্টেন এম মহিদুল হাসানসহ চবক’র শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here