খবর৭১ঃ
ইরানের কেরমান শহরে কুদস বাহিনীর কমান্ডার কাসেম সোলাইমানির জানাজায় ভিড়ের মধ্যে পদদলিত হয়ে অন্তত ৪০ জন নিহত এবং আরও অন্তত ২শ’ ১৩ জন আহত হয়েছেন। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা খবরটি নিশ্চিত করেছে।
ইরানের জরুরী চিকিৎসা সেবা প্রধান পিরোসিন কৌলিভান্দ দুর্ঘটনার খবর নিশ্চিত করে বলেছেন, দুর্ভাগ্যবশত জানাজার সময় অনুষ্ঠিত মিছিলে পদদলিত হয়ে বেশ কয়েকজন মানুষ নিহত ও আহত হয়েছেন।
অনলাইনে পোস্ট করা প্রাথমিক ভিডিওতে দেখা যায়, রাস্তায় মানুষের প্রাণহীন দেহ পড়ে আছে, আহতরা চিৎকার করছেন এবং অনেকেই তাদের সাহায্য করার চেষ্টা করছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সোলাইমানিকে দাফনের জন্য কবরস্থানে নিয়ে যাওয়ার সময় জনশ্রোতও সেদিকে রওনা হয়। এসময় সরু রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় ধাক্কা ধাক্কি শুরু হলে পদদলনের ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার সকালে সোলাইমানির মরদেহ তার শহর কেরমানে পৌঁছায়। দেশটির জাতীয় বীরকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে লাখো মানুষ কারমানের প্রধান রাস্তা ও পার্শ্ব রাস্তায় জড়ো হন। তাদের পড়নে ছিলো কালো পোশাক, হাতে ছিলো ইরানের পতাকা এবং সোলাইমানির ছবি।
এর আগে সোমবার ইরানের রাজধানী তেহরানে সোলাইমানির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেয় অন্তত ১০ লাখ মানুষ। তারা কালো ব্যাচ ও পোশাক পরিধান করে, পতাকা উড়িয়ে ও সোলাইমানির ছবি বুকে নিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। এছাড়া তারা ‘আমেরিকার মৃত্যু চাই’ বলে শ্লোগান দিতে থাকে তারা।
গত শুক্রবার ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন বিমান হামলায় নিহত হন ইরানের কুদস বাহিনীর প্রধান কাশেম সোলাইমানি। এরপর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।
ইরান ইতোমধ্যে সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে কঠোর বদলা নিবে বলে আমেরিকাকে হুমকি দিয়েছে। তবে দেশটি ঠিক কি ধরনের বদলা নিবে তার বিস্তারিত কিছু বলেনি।
অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানিয়েছেন, কাসেম সোলাইমানি বিশ্বের এক নম্বর সন্ত্রাসী। তিনি আমেরিকান নাগরিকদের হত্যার পরিকল্পনা করছিল। এছাড়া সোলাইমানিকে লাখো মানুষের মৃত্যুর জন্য দায়ী বলেও উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প।