খবর৭১ঃ আগামী ২২ জানুয়ারি থেকে ই-পাসপোর্ট (ইলেক্ট্রনিক পাসপোর্ট) বিতরণ শুরু হবে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সব প্রস্তুতি ও আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেছে। ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট বিভাগের (ডিআইপি) মহাপরিচালক (ডিআইজি) মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ রবিবার এই তথ্য জানিয়েছেন। খবর বার্তা সংস্থা বাসসের।
আগামী ২২ জানুয়ারি এ বিষয়ে নগরীর বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সকাল ১০টায় এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ই-পাসপোর্টের উদ্বোধন করবেন বলে আশা করছেন শাকিল আহমেদ।
ডিআইজি বলেন, প্রাথমিকভাবে আগারগাঁও, যাত্রাবাড়ী এবং উত্তরা পাসপোর্ট অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট বিতরণ করা হবে এবং পরবর্তী সময়ে পর্যায়ক্রমে সবখানেই ই-পাসপোর্ট বিতরণ করা হবে।
শাকিল আহমেদ বলেন, বিখ্যাত জার্মান কোম্পানি ভেরিডোস জিএমবিএইস দেশে ই-পাসপোর্ট ও ই-গেট নিয়ে কাজ করছে। তিনি আরও জানান, ই-পাসপোর্টের সূচনা দিয়ে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া তৈরি করার প্রক্রিয়া চলছে।
ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেন (আইসিএও)’র মতে বিশ্বের একশটিরও বেশি দেশ বর্তমানে ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করছে। পাসপোর্ট বুকলেটে একটি ইলেক্ট্রনিক চিপ ব্যবহারের মাধ্যমে চিরাচরিত ননইলেক্ট্রনিক পাসপোর্টের চেয়ে ইলেক্ট্রনিক পাস পোর্ট অধিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। এতে পাসপোর্টের দুটি পেজে দৃশ্যমান বায়োগ্রাফিকেল তথ্য ভাণ্ডার ও একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা ফিচার থাকে। ডিজিটাল ফিচার হচ্ছে কোনো দেশের সুনির্দিষ্ট ডিজিটাল স্বাক্ষর। এই ডিজিটাল স্বাক্ষরগুলো প্রতিটি দেশে একক এবং স্ব স্ব সার্টিফিকেটের মাধ্যমে এটি যাচাই করা যাবে।
প্রকল্প তথ্য অনুযায়ী, ‘বাংলাদেশ ই-পাসপোর্ট চালু এবং অটোমেটিক বর্ডার কন্ট্রোল ম্যানেজমেন্ট’ প্রজেক্টটি চার হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে। সরকারের নিজস্ব তহবিলে ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০২৮ সালের জুন পযর্ন্ত প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে। দশ বছরে মোট ৩০ মিলিয়ন পাস পোর্ট সরবরাহ করা হবে। এই ই-পাসপোর্ট ইস্যু করার মাধ্যমে ইমিগ্রেশন আনুষ্ঠানিকতার সমস্ত প্রক্রিয়াই অনলাইনে সম্পন্ন হবে।
তথ্যসূত্র মতে, দুই মিলিয়ন পাস পোর্ট তৈরি হবে জার্মানিতে। ফলে যারা আগে আবেদন করবেন, তারা জার্মানির তৈরি পাসপোর্ট পাবেন। ই-পাস পোর্টের মেয়াদ হবে পাঁচ থেকে ১০ বছর।
মেশিন রিডেবল পাসপোর্টের পাশাপাশি ইলেক্ট্রনিক পাসপোর্টের জন্য ২০১৮ সালের ১৯ জুলাই ডিআইপি এবং ভেরিডসের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়।