শাহজালাল হবে এ অঞ্চলের সেরা বিমানবন্দর: প্রতিমন্ত্রী

0
519
শাহজালাল হবে এ অঞ্চলের সেরা বিমানবন্দর: প্রতিমন্ত্রী

খবর৭১ঃ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমাবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের কাজ শুরু হচ্ছে। এই কাজ শেষে হলে এটি এই অঞ্চলের সেরা বিমানবন্দর হবে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

শুক্রবার দুপুরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণকাজের উদ্বোধন প্রস্তুতি পরিদর্শন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করবেন। এদিন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বোয়িং ৭৮৭-৯ সিরিজের দুটি নতুন ড্রিমলাইনার ‘সোনার তরী’ ও ‘অচিন পাখি’র উদ্বোধন করবেন তিনি। এছাড়া বিমানের মোবাইল অ্যাপসও উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এই অ্যাপস ব্যবহার করে টিকিট কাটলে যাত্রীরা ১০ শতাংশ ছাড় পাবেন।

প্রতিমন্ত্রী জানান, আগামী ৪৮ মাসের মধ্যে তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণকাজ শেষ হবে। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ২০২৩ সালের জুন মাসের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করতে পারবে বলে আশ্বস্ত করেছে।

মাহবুব আলী বলেন, ‘বিমানবন্দর ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের আন্তর্জাতিকমানের সেবা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় কিছু ক্ষেত্রে আমরা সফলতাও অর্জন করেছি। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স যেমন আকাশে শান্তির নীড় তেমনি আমাদের নতুন টার্মিনালও হবে ভূমিতে শান্তির পরশ। ’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হবে বিমানযাত্রীদের প্রত্যাশার সুন্দর ও অত্যাধুনিক একটি বিমানবন্দর।

বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ। তাই উন্নয়নের এ ধারা থেকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের পিছিয়ে থাকার কোনো সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনা অনুসরণ করে দেশের বেসামরিক বিমান পরিবহন খাতের উন্নয়নে আমরা কর্মী হিসেবে কাজ করে যাব।

মাহবুব আলী জানান, ২০১৮ সালে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে ২২টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এর মধ্যে জাপানের মিতসুবিশি করপোরেশন, ফুজিতা করপোরেশন ও স্যামসাং নামের তিনটি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে অ্যাভিয়েশন ঢাকা কনসোর্টিয়ামকে (এডিসি) কাজের অনুমোদন দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মহিবুল হক বলেন,‘তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শুরু করতে আমাদের বেশ কিছু বাধা পেরিয়ে আসতে হয়েছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানের আন্তরিক প্রচেষ্টা বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর ঐকান্তিক আগ্রহ ও দিকনির্দেশনায় সকল প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে আমরা এ জায়গায় এসেছি। এ টার্মিনাল নির্মাণ হলে বছরে দুই কোটি যাত্রীকে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।’

সচিব বলেন, ‘এ টার্মিনালকে এমন ম্যাকানিজমে নিয়ে আসা হচ্ছে, যাতে কেন্দ্রীয়ভাবে টার্মিনালের প্রতিটি কাজ মনিটরিং করা যায়।’

ব্রিফিংকারে উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. মোকাব্বির হোসেন প্রমুখ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here