খবর৭১ঃ কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা ও মিরপুর উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় মা-ছেলেসহ সাতজনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে মিরপুর উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের কাটদহচর রেল ক্রসিংয়ে ট্রেনের ধাক্কায় ও বিকালে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের ভেড়ামারা পার-হাউজের সামনে ট্রাকচাপায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
মিরপুরে ট্রেনের ধাক্কায় নিহতরা হলেন- উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের বশিনগর গ্রামের আজগর আলীর ছেলে কাওছার এবং একই গ্রামের মহিবুল।
অপরদিকে, ভেড়ামারায় নিহতরা হলেন- সিএনজি চালক রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার সরের ঘাট এলাকার দবির মোল্লার ছেলে জালাল উদ্দিন (৩২), একই এলাকার মেজবা উদ্দিন (৩০), তার স্ত্রী রুনা বেগম (২৬), ছেলে রুজবী (৭) ও অজ্ঞাত এক নারী।
পুলিশ জানায়, মেজবা উদ্দিন তার পরিবার নিয়ে ঝিনাইদহের শশুরবাড়ী থেকে সিএনজিযোগে রাজশাহী ফিরছিলেন। পথিমধ্যে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের ভেড়মারা পার-হাউজ যাত্রী ছাউনির সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে দ্রুতগামী একটি ট্রাক সিএনজি অটোরিকশাকে চাপা দেয়।
এতে ঘটনাস্থলেই সিএনজি চালক জালাল উদ্দিন ও রুনা বেগম মারা যান। এ সময় রুনা বেগমের স্বামী মেজবা, ছেলে রুজবীসহ আরো এক নারী গুরুতর আহত হন। পরে আহতদের ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশু রুজবীকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় মেজবা উদ্দিনসহ আরো এক নারী গুরুতর অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। জেনারেল হাসাপাতালে নেওয়ার পরপরই ইমারজেন্সিতে কর্মরত চিকিৎসক মেজবা উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহত অপর নারীরও মৃত্যু হয়। নিহত নারীর নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি।
ভেড়ামারা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আসাদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নিহত পাঁচজনের মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
অপরদিকে মিরপুর উপঝেলার পোড়াদহ স্টেশনের মাস্টার শরিফুল ইসলাম জানান, খুলনা থেকে রাজশাহীগামী কপোতাক্ষ আন্তঃনগর ট্রেনটি কাটদহচর রেল ক্রসিং এলাকা পার হচ্ছিল। এ সময় একটি ট্রলি রেললাইন পার হতে যায়। কিন্তু ট্রেনটি রেললাইনে ঢুকে পড়লে ট্রলিটিকে ধাক্কা দিয়ে টেনেহিঁচড়ে কিছুদূর গিয়ে থামে। এ সময় ট্রলির দুই শ্রমিক ঘটনাস্থলেই নিহত হন। ট্রেনে কাটা পড়ে তাদের শরীর ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়।