খবর৭১ঃজাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেছেন, এ বছরটা খুব জঘন্যভাবে শেষ হচ্ছে। নতুন বছরে সবাই মিলে বৃহত্তর ঐক্যকে সুসংহত ও জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে মানুষকে বাঁচানোর জন্য যা করা দরকার তাই করবো। ভোট ডাকাত সরকারের বিরুদ্ধে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবো।
সোমবার মতিঝিলের চেম্বারে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ড. কামাল বলেন, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নামধারী ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় ভিপি নুরসহ অর্ধশতাধিক ছাত্র আহত হওয়ার ঘটনা অকল্পনীয়, লজ্জাকর। এর নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত। ছাত্রদের ওপর এ ধরনের হামলা পূর্বপরিকল্পিত। এরা মারা যেত পারত। এখনো মারা যেতে পারে, যারা গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধীন।
তিনি আরও বলেন, বছর শেষে একদলীয়, এক ব্যক্তির শাসনকে কেন্দ্র করে পূর্ণ ক্ষমতা নিয়ে এগুলো করা অকল্পনীয়। কিন্তু করে যাচ্ছে। পেশি শক্তির অপব্যবহার করে ছাত্রসমাজের ওপর, নির্বাচিত নেতাদের ওপর এগুলো করা যায়! নজিরবিহীন জিনিস ঘটতে শুরু করেছে। সংবিধানের ওপর আক্রমণ হচ্ছে। যেখানে গণতন্ত্র সংবিধানের প্রতিশ্রুতি। আজকে কি গণতন্ত্র আছে? এই প্রশ্ন আমরা রাখছি। ঐক্যফ্রন্ট আন্দোলন অব্যাহত রাখবে বলে জানান তিনি। এছাড়া বর্তমান সরকারকে বিনা ভোটে ঘোষিত বলেও মন্তব্য করেন ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক।
ভিপি নুরের ওপর হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিচার করা হবে বলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যে কথা বলেছেন সে বিষয়ে ড. কামাল বলেন, ‘উনি (কাদের) কি নিজের বিচার শুরু করবেন নাকি? নিজেকে আসামি ঘোষণা করে বিচার করলে একটা কথা।