সৈয়দপুরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ৮ পরিবারের মাঝে উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্নজনের ত্রাণ বিতরণ

0
639
সৈয়দপুরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ৮ পরিবারের মাঝে উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্নজনের ত্রাণ বিতরণ
আজ শনিবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে ঢেউটিন ও শুকনো খাবার বিতরন করেন ইউএনও মো. নাসিম আহমেদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন পিআইও আবু হাসনাত সরকার,ইউপি চেয়ারম্যান আল হেলাল চৌধুরীসহ অন্যান্যরা। ছবিঃ মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুর থেকে।

খবর৭১ঃ

মিজানুর রহমান মিলন, সৈয়দপুর থেকেঃ সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের কাচারি পাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ৮টি পরিবারের সদস্যরা এখনও খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছে। তাদের মাথা গোঁজার ঠাই করে দিতে উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্নজনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।

প্রয়োজনেট তুলনায় কম হলেও ক্ষতিগ্রস্থরা এসব ত্রাণ পেয়ে উঠে দাড়ানোর চেস্টা করছেন। আজ শনিবার উপজেলা প্রচাসনের পক্ষে ক্ষতিগ্রস্থ ৮ টি পরিবারকে ২ বান্ডিল করে নতুন ঢেউটিন, নগদ ৩ হাজার টাকা এবং দুই প্যাকেট করে শুকনো খাবার দেয়া হয়েছে।এসব প্যাকেটে রয়েছে,চাল, ডাল,তেল, চিনিসহ অন্যান্য পণ্য। দুপুরে সহায় সম্বল হারানো অসহায় ওইসব মানুষের মাঝে ঢেউটিনসহ টাকা ও ত্রাণ তুলে দেন সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাসিম আহমেদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবু হাসনাত সরকার,বোতলাগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আল হেলাল চৌধুরী, ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী,নুর নবী সরকার, মোত্তালেব হোসেন প্রমুখ।

এর আগে শুক্রবার বিকেলে অগ্নিকান্ডের সংবাদ পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি পরিবারকে তাৎক্ষণিক নগদ ২ হাজার টাকা ও ৫ টি করে কম্বল দেয়া হয়। এসব বিতরণ করেন সৈয়দপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোখছেদুল মোমিন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাসিম আহমেদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) পরিমল কুমার সরকার,পিআইও আবু হাসনাত সরকারসহ অন্যান্যরা। এদিকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মহসিনুল হক মহসিন ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে সহায়তার অর্থ ও কম্বল বিতরণ করেছেন।

তিনি প্রতি পরিবারকে পাঁচশত টাকা ও দুইটি করে কম্বল তুলে দেন। একই দিন বোতলাগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আল হেলাল চৌধুরী প্রতি পরিবারকে এক হাজার করে টাকা বিতরণ করেন। তিনি অসহায় ওইসব পরিবারের জন্য খাবারেরও ব্যবস্থা করেন। ইউপি চেয়ারম্যান হেলাল চৌধুরী জানান, অগ্নিকান্ডে পরিবারগুলোর যে পরিমান ক্ষতি হয়েছে, তা পুরণ করা সম্ভব না। তারপরেও তার পরিষদ ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তার কোন কমতি রাখবে না। তিনি জানান,এরই অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে পরিষদের পক্ষ থেকে সামান্য সহযোগিতা করা হয়েছে। পরবর্তিতে আরও সহায়তা করা হবে জানিয়ে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাড়ানোর জন্য সামর্থবান ব্যক্তিদের প্রতি আহবান জানান।

প্রসঙ্গতঃ গত বৃহস্পতিবার গভীররাতে ওই ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের কাচারি পাড়া এলাকার তাতুর পাড়ায় ভয়াবহ অগ্নিকান্ড সংগঠিত হয়। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে সুত্রপাত হওয়া এ ঘটনায় ওই এলাকার ছোবহান,ইউনুস,জোহেরুল, মিনাজুরসহ ৮ টি পরিবারের ১৮টি ঘর পুড়ে যায়। গভীররাতে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থরা প্রাণ বাঁচাতে ঘরের বাইরে চলে আসে। ফলে তারা পড়নের কাপড় ছাড়া কোন কিছুই বাঁচাতে পারেনি। খবর পেয়ে স্থানীয় দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে প্রায় একঘন্টার চেস্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু তার আগেই পুড়ে সব ছাই হয়ে যায়।

এতে ওইসব পরিবারের আসবারপত্র, স্বর্ণালংকার, কাপড়চোপড় নগদ টাকা,গরু ছাগলসহ অন্যান্য মালামাল ছাই হয়। এতে প্রায় ১৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here