খবর৭১ঃ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমানে দখলদার মন্ত্রিসভার সদস্যরা বেগম খালেদা জিয়ার জামিন প্রসঙ্গে উল্টাপাল্টা কথাবার্তা বলছেন। অথচ ২০০৬ সালের নভেম্বরে আদালতে আওয়ামী লীগের আইনজীবীরা আন্দোলনের নামে হাইকোর্টে ভাংচুর চালায়। আমাদের নেতা শাহজাহান ওমরের গাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছিল। প্রধান বিচারপতির এজলাস লণ্ডভণ্ড করেছিল। আদালত শুনানি স্থগিত করেছিল। আজকে এসব ইতিহাস মিডিয়া লিখতে ও বলতে পারে না। আসলে দেশে আইনের শাসন নেই।
শনিবার দুপুরে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ সব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে জঘন্য নাটক করছে সরকার। আমি বলবো- দয়া করে নাটক বাদ দিয়ে বেগম জিয়াকে জামিন দিয়ে বেঁচে থাকার ব্যবস্থা করুন। না হলে দেশের মানুষ কখনই আপনাদের ক্ষমা করবে না। দেয়ালের লিখন পড়ুন। মানুষের মুখের ভাষা বুঝতে চেষ্টা করুন।’
তিনি বলেন, আজকে সর্বক্ষেত্রে সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। প্রত্যেকটি সূচক কমেছে। গার্মেন্টস শিল্প ধ্বংস। রফতানি কমেছে। দেশকে খালি কলসির দিকে নিয়ে গেছে সরকার। এখন দুর্বৃত্তদের কবলে দেশ। রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুট করে দেশকে ফোকলা করে দিয়েছে। সব বিদেশে পাচার করছে। পাচারের টাকায় কানাডায় একটি পাড়া তৈরি হয়েছে; যার নাম ‘বেগম পাড়া’। আসলে তারা জানে যে তাদের পতন অনিবার্য। এজন্যই টাকা পাচার করেছে। তবে মানুষ কিন্তু জেগে উঠেছে। আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়েই তারা বিজয় অর্জন করবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অতীতে বাকশাল কায়েমের মাধ্যমে দেশের চারটি বাদে সকল গণমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছিল। আজকেও তারা ভিন্ন লেবাসে বাকশাল কায়েম করেছে। আজকে গণতন্ত্রের নেত্রী যিনি দীর্ঘ ৯ বছর সংগ্রাম করেছেন। আজো সংগ্রাম করছেন সেই নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় তাকে কারাগারে বন্দী রেখেছে সরকার। ক্ষমতাসীনরা সংবিধান সংশোধন করে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে সমস্ত আয়োজন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুধু দল ও ব্যক্তিকে ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য স্বাধীনতার স্বপ্ন ভেঙ্গে খান খান করে দিয়েছে। মানুষের ভোটাধিকার হরণ করে বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। ক্ষমতাসীনরা ভয়ের পরিস্থিতি তৈরি করে দেশ শাসন করছে।