খবর৭১ঃ শুধুমাত্র বস্তুগত উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত দেশ গঠন করা বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্য নয়, পাশাপাশি একটি উন্নত জাতিও গঠন করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।’- শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) এর সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথাগুলো বলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে দুটি স্বপ্নের কথা বলেছিলেন। একটি হচ্ছে দিন বদল, আরেকটি হল ডিজিটাল বাংলাদেশ। আজকে দিনবদল হয়েছে, এখন দেশের কোন শহরের অলিগলিতে কিংবা গ্রামের মেঠো পথে মা আমাকে একটু বাসি ভাত দেন এই ডাক শোনা যায়না। বাসি ভাতের সমস্যা আমরা সমাধান করতে পেরেছি। এখন কবিতায় কুঁড়েঘর আছে বাস্তবে কুঁড়েঘর খুঁজে পাওয়া যায়না। আকাশ থেকে চট্টগ্রাম ও ঢাকা শহর চেনা যায়না। একইসাথে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নও পূরণ হয়েছে। ১৬ কোটি মানুষের দেশে ১৫ কোটি মোবাইল সিম ব্যবহারকারী রয়েছে। মোবাইল ফোনে শুধু কথা বলা যায়না, ভিডিও কল করা যায়। দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে টাকা পৌঁছে যায়। ভোলার মনপুরা থেকে কৃষক ভাই জমিতে দাঁড়িয়ে পোকার ছবি তুলে সদরের কৃষি অফিসারের কাছে পাঠিয়ে সরাসরি পরামর্শ নেন পোকা দমনে কোন ওষুধ দিতে হবে। দেশের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে টেলিমেডিসিন সেবা নিচ্ছে সাধারণ মানুষ। এসব সম্ভব হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন পূরণের কারণে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তর করার স্বপ্নের কথা বলেছেন। আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টা হবে দেশকে সেই স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছানো শুধু নয়, দেশের অবকাঠামো উন্নয়ন ও উন্নত জাতি গঠনের ক্ষেত্রেও স্বপ্নের ঠিকানাকে অতিক্রম করতে চায়।
চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগেরে সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র আজম নাছির উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য এবং একটা নিরাপদ ও স্বাধীন আবাস ভূমি গড়ার জন্য জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই দেশ স্বাধীন করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে ষড়যন্ত্র করে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। আজকে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশ পরিচালনা করছেন। বঙ্গবন্ধুর যেই লক্ষ্য সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য তিনি নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন। দেশে বিদেশে বাংলাদেশের সুনাম ও মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে পৃথিবীর উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রের পর্যায়ে উন্নত করার জন্য রূপকল্প নির্ধারণ করেছেন। সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে হলে বিভিন্ন পর্যায়ে প্রকৌশলীরা যারা আছেন তাদের মেধা, দক্ষতা ও বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। এতে আমরা একটি সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ পাব।