ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে পাক হানাদার মুক্ত দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে মুক্তি শোভাযাত্রা ছাড়াও দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠি ঠাকুরগাঁও জেলা শাখা ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ঠাকুরগাঁও জেলা কমান্ড। মঙ্গলবার সকালে শহরের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ সাধারণ পাঠাগার চত্বরে দিবসটির উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও সাবেক পৌর মেয়র আকবর আলী ও শহীদ বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক গোলাম মোস্তফার পত্নী শহীদজায়া আনোয়ারা মোস্তফা।
এ সময় জেলা উদীচীর সভাপতি সেতারা বেগমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম, পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ঠাকুরগাঁও-২ আসনের সাংসদ আলহাজ দবিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাদেক কুরাইশী, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বদরুদ্দোজা বদর প্রমুখ।
বক্তব্য শেষে ঠাকুরগাঁও পাঠাগার চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য মুক্তি শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় জেলার বিভিন্ন স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড ও জেলার মুক্তিযোদ্ধারা অংশগ্রহন করেন।
শোভাযাত্রা অতিক্রমকালে শহীদ মোহাম্মদ আলীর কবরে পুস্পার্ঘ অর্পণ করা হয়। উল্লেখ্য, একাত্তরের এই দিনে (৩ ডিসেম্বর) পাক হানাদার মুক্ত হয়েছিল ঠাকুরগাঁও জেলা। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মরণপণ লড়াই আর মুক্তিকামী জনগণের দুর্বার প্রতিরোধে নভেম্বরের শেষ দিক থেকেই পিছু হটতে শুরু করে পাকিস্তানি সৈন্যরা। তাদের সেই চূড়ান্ত পরাজয় ঘটে আজকের এই দিনেই। জেলা শহর থেকে পল্লী অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতি বিজড়িত গণকবর আর বধ্যভূমি।