স্বর্ণ আমদানির লাইসেন্স পেল ১৮ প্রতিষ্ঠান

0
484
শাহ আমানতে ২০ সোনার বারসহ যাত্রী আটক

খবর৭১ঃ স্বর্ণ আমদানির ডিলারশিপ লাইসেন্স পেল একটি ব্যাংকসহ ১৮ প্রতিষ্ঠান। প্রত্যেককে সাময়িকভাবে দুই বছরের জন্য এই লাইসেন্স দেয়া হয়েছে।

রোববার প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের হাতে ডিলারশিপ অনুমোদনের কপি হস্তান্তর করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম প্রকাশ করতে রাজি হয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, মোট ১৮ প্রতিষ্ঠান স্বর্ণ আমদানির ডিলারশিপ লাইসেন্স পেয়েছে। তবে কারা স্বর্ণ আমদানির লাইসেন্স পেল সেটি এখনই বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশ করতে চাচ্ছে না।

জানা যায়, স্বর্ণ আমদানির লাইসেন্স পাওয়া প্রতিষ্ঠানের তালিকায় আছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালার মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড।

রোববার বিকালে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. খুরশীদ ওয়াহাবের হাত থেকে স্বর্ণ আমদানির ডিলারশিপের কপি গ্রহণ করেন।

দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, আমি বিকালে এটা গ্রহণ করেছি। স্বর্ণ আমদানির লাইসেন্সধারীদের নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ তালিকা আমাদের কাছে এখনও সরবরাহ করা হয়নি। বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, এটা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সবাইকে জানানো হবে। তখন আমাদেরও তালিকা সরবরাহ করা হবে। তালিকা নিয়ে গোপনীয়তার কিছু নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তালিকায় ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড ছাড়াও আমিন, ভেনাস ও শারমিন জুয়েলার্সের মতো প্রতিষ্ঠানের নাম আছে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া একমাত্র ব্যাংক হিসেবে রয়েছে বেসরকারি খাতের মধুমতি ব্যাংক।

জানা যায়, দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে বার্ষিক প্রায় ১৫ থেকে ২০ মেট্রিক টন স্বর্ণের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু বৈধ পথে স্বর্ণ আমদানির সুযোগ না থাকায় এর সিংহ ভাগ পূরণ হচ্ছে চোরচালানের মাধ্যমে আসা স্বর্ণ দিয়েই। এতে প্রতি বছর বড় অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। এই প্রেক্ষাপটে গত বছরের অক্টোবরে স্বর্ণ আমদানির নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়। ওই নীতিমালার আওতায় স্বর্ণ আমদানির ডিলারশিপের লাইসেন্স দিতে চলতি বছরের ১৯ মার্চ থেকে আবেদন চেয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

আগ্রহীদের অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের আবেদনপত্র জমা দেয়ার কথা বলা হয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আবেদনের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়। ওই সময়ের মধ্যে সারা দেশ থেকে ৪৭টি আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে দুটি ব্যাংক ও ৪৫টি প্রতিষ্ঠান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here