খবর৭১ঃ পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে। ২০৪১ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ১৬ হাজার ইউএস ডলার হবে।
সোমবার রাজধানীর গুলশানের হোটেল ওয়েস্টিনে সিএসআর সেন্টারের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ইতিমধ্যে আমরা এমডিজি (সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) অর্জন করেছি। আর ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি (টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা) অর্জন করতে চাই। সে লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।
তিনি বলেন, জেন্ডার সমতা বজায় রেখে তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগাতে তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর কর্মতৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। নারী ও বেসরকারি খাতকে এগিয়ে নিতে বিভিন্ন নীতি সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, শুধু শহরকেন্দ্রিক উন্নয়নের ধারা থেকে বেরিয়ে এসে সমগ্র দেশে নাগরিক সুবিধা পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রী একটি গ্রাম একটি শহর প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। ইতিমধ্যে তার বাস্তবায়নও শুরু করেছে। শহর বলতে গ্রামীণজনপদেও পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও অন্যান্য নাগরিক সেবার আওতায় নিয়ে আসাকে বোঝানো হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যে শুধু হাওর ও পাহাড়ি জনপদ বাদে প্রত্যেক উপজেলা সড়ককে মহাসড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করতে সক্ষম হয়েছি।
বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত সালোট্রা স্লাইটার বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে জেন্ডার সমতা নিশ্চিত করতে হবে। জেন্ডার সমতা অর্জন ছাড়া কোনো দেশ উন্নত হতে পারে না। এজন্য বাংলাদেশ সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে বিশ্বাস রাখি।
সিএসআর ট্রাস্ট্রি বোর্ডের চেয়ারম্যান ফারুক সোবহান বলেন, সিএসআর গত ৭ বছর ধরে এ ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। আমরা চাই, বাংলাদেশ তারুণ্য শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যাক। তরুণরাই তো পরিবর্তনের কারিগর। এসডিজি অর্জন করতে হলে বেসরকারি খাত, নারী ও তরুণদের বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে হবে। তাহলে নির্ধারিত সময়ে বাংলাদেশ এসডিজি অর্জন করতে পারবে এবং উন্নত বাংলাদেশের পথে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন- সিএসআরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহমিন এস জামান, গ্রিন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফারজানা চৌধুরী, জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা করভী রাখসান্দ প্রমুখ।