খবর৭১ঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামায়েতুল মোজাহেদিন বাংলাদেশ (জেএমবি) নেতা রুহুল আমীন ওরফে সালমান হত্যা মামলায় জেএমবির তিন সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড ও এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অপর চার সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। অনাদায়ে আরো এক বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ অতিরিক্ত দায়রা জজ শওকত আলী সাত আসামির মধ্যে ছয়জনের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জেলার নাচোল উপজেলার চানপাড়া গ্রামের মৃত এরশাদ আলীর ছেলে মো. সানোয়ার (৩৭-পলাতক), জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার বালুগ্রাম রাজারামপুর গ্রামের মৃত. আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩৯) ও একই উপজেলার বালুগ্রাম দক্ষিণটোলা গ্রামের মফিজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুস শুকুর ওরফে শুকুর (৩৯)।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- গোমস্তাপুর উপজেলার বোগলা গোপলনগর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে সামসুল হক (৩৩), একই উপজেলার চকপুস্তম গ্রামের নজরুল ইসলাম ওরফে টুনুর ছেলে সাইফুল ইসলাম ওরফে সাইফুল (৩৯), নিমতলা ঘন্টুটোলা গ্রামের মাহাতাবের ছেলে মো. শামীম (৩৫) ও নওগাঁর মান্দা উপজেলার শিবনগর ভড় গ্রামের ইয়াসিন আলীর ছেলে আব্দুল মোতাকাব্বির ওরফে বুলবুল (৩৫)।
মামলার বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আঞ্জুমান আরা জানান, নেতৃত্ব নিয়ে আভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে সংগঠন করতে অস্বীকার করায় ২০১২ সালের ২৬ এপ্রিল দিবাগত রাতে নাচোলের ফতেপুর ইউনিয়নের খলসি বোরিয়া এলাকার একটি আমবাগানে গলা কেটে হত্যা করা হয় জেএমবি নেতা রুহুল আমীন ওরফে সালমানকে। নিহতকে যাতে শনাক্ত করা না যায় এজন্য তার কাটা মস্তক গোমস্তাপুরের ধাইনগর এলাকায় মহানন্দা নদী ঘাটে নিয়ে পুঁতে রাখে হত্যাকারীরা।
পরদিন ২৭ এপ্রিল সকালে আমবাগান থেকে সালমানের মস্তকবিহীন মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওইদিন নাচোল থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করেন নাচোল থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) আনিসুর রহমান।
মামলার তৃতীয় তদন্ত কর্মকর্তা ও নাচোল থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) গৌতম চন্দ্র মালী ২০১৫ সালের ২৯ আগস্ট ৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২৩ জনের সাক্ষ্য, প্রমাণ ও শুনানি শেষে আদালত সোমবার এই রায় দেন। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মাইনুল ইসলামসহ আরো কয়েকজন আইনজীবী।